অনলাইন ডেস্ক : করিমগঞ্জ শহর লাগোয়া মেদল এলাকার নাবালিকা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসলো । ধর্ষণ করে হত্যা নয়, বরং হত্যার পর গণ ধর্ষণ করা হয়েছিল ১৫ বছরের নাবালিকা কে । ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন অভিযুক্ত কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালালে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য লাভ করে পুলিশ । পুলিশের তদন্তে ধর্ষণ ও হত্যার বিস্তারিত জানায় তারা । অভিযুক্ত দের নিয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার ক্রাইম সিন দেখে আসে ।
গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে করিমগঞ্জ শহর লাগোয়া মেদল এলাকায় এক নাবালিকার ঘরের ভেতরে হত্যা করা হয় । পরের দিন সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেন । খবর দেওয়া হয় থানায় । পুলিশ সুপার পার্থ প্রতীম দাস দলবল নিয়ে নিজে ছুটে যান ঘটনা স্থলে । স্থানীয় দের অভিযোগ মেয়েটিকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে । পুলিশ ঘটনার তদন্ত আরম্ভ করে মেয়েটির মোবাইল উদ্ধার করে । পুলিশ তদন্ত চালিয়ে প্রায় সতেরো দিন পর তিন অভিযুক্ত কে আটক করে । এরা হচ্ছে রাহুল দাস, শুভ্র মালাকার এবং বিপ্লব মালাকার । এদের মধ্যে রাহুল দাস নামের ছেলেটি সরকারি কর্মচারী । সে মেয়েটির সঙ্গে নকল প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে । মেয়েটিকে মোবাইল ফোনটি এই রাহুলই দিয়েছিল । মেয়ের মা বাবা ঘরে থাকবেন না বলে ছেলেটিকে জানিয়েছিল মেয়েটি । তখন ছেলেটি মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয় । মেয়েটি এতে রাজি হয় নি । পরবর্তীতে রাতের বেলা রাহুল তার দুই সহযোগী শুভ্র মালাকার ও বিপ্লব মালাকার কে সঙ্গে নিয়ে মেয়েটির ঘরে প্রবেশ করে । মেয়েটি চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে তিনজন মিলে মেয়েটির গলা টিপে হত্যা করে । এরপর ক্রমে এক এক করে মৃতদেহ টিকে ধর্ষণ করে । এই পুরো ঘটনা পুলিশের কাছে আটক তিন অভিযুক্ত স্বীকার করেছে । বৃহস্পতিবার সাংবাদিক দের ডেকে পুলিশ সুপার পার্থ প্রতীম দাস পুরো ঘটনার বিস্তারিত জানান । বলেন, ঘটনার পর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল । এরপরই ধর্ষনের বিষয়টি জানা যায় এবং পুলিশ সে অনুযায়ী তদন্ত শুরু করে । আটক অভিযুক্তরা হত্যা ও ধর্ষনের বিষয় স্বীকার করেছে ।