অনলাইন ডেস্ক : কচুদরমে সংঘটিত হলো এক দুঃসাহসিক চুরি কাণ্ড। দিন দুপুরে ঘরে ঢুকে নগর অর্থ সহ স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে গেছে চোর । কচুদরম থানা থেকে ঢিল ছুড়া দূরত্বে থাকা কচুদরম প্রথম খণ্ড গ্রামের আলী হোসেন লস্কর নামের শিক্ষকের বাড়িতে এই চুরি কাণ্ড সংঘটিত হয় শনিবার সকাল ১১ টা নাগাদ। এদিকে পরষ্পর খবরে ভিত্তিতে এদিন একই গ্রামের দিলবার হোসেন লস্কর নামের লোকের বাড়িতে অভিযান চালায় কচুদরম পুলিশ কিন্তু পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে পালিয়ে যায় দিলবার। শেষে পাশ্ববর্তী দুধপাতিল গ্রাম থেকে তাকে আটক করে কচুদরম পুলিশের হাতে তোলে দেওয়া হয়। পরে দিলবারকে জিজ্ঞাসাবাদের সুত্র ধরে কচুদরম দ্বিতীয় খণ্ড গ্রামের আনয়ার হোসেন লস্কর নামের লোকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আশে পুলিশ। শেষে নগর ৩০ হাজার টাকা ও অনুমানিক ৭ লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার চুরির অভিযোগ এনে দিলবার হোসেন ও আনয়ার হোসেনকে অভিযুক্ত করে কচুদরম থানায় এক এজাহার দায়ের করেন শিক্ষক আলী হোসেন লস্কর। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন শনিবার সকাল ১১ টা নাগাদ তিনি ছিলেন স্কুলে আর বাড়ির অন্য লোকজন নিজের পুরনো বাড়িতে ছিলেন। পরে সাড়ে ১১ টার সময় বাড়িতে লোকরা এসে দেখেন ঘরের জিনিস পত্র এলোমেলো। আর ঘরের পেছনের জানালা ভাঙা। এতে ঘরে না থাকার সুযোগে চোর ঘরের পেছনের জানালা ভেঙে চুরি কাণ্ড সংঘটিত করেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও অনুমানিক ৭ লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার চোর চুরি করে নিয়ে গেছে বলে তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন।
এদিকে রবিবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরে আলী হোসেন লস্কর বলেন ধৃত দিলবার হোসেন চুরির কথা শিকার করেছে। সে আনয়ার হোসেনের কাছে চুরির সামগ্রী দিয়েছে বলে পুলিশকে জানায়। কিন্তু তার পরও সামগ্রী উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ বলে তিনি তদন্তে খামতি রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমে কাছে অভিযোগ করে বলেন শনিবার গভীর রাতে ধৃতদের ছেড়ে দিয়েছিল পুলিশ শেষে চাপে পড়ে ফের তাদের আটক করা হয়। এছাড়া ধৃত আনয়ার হোসেন অবৈধ নেশাদ্রব্য ড্রাগস কারবারের সঙ্গে জড়িত বলে তিনি জানান। এদিকে ধৃতদের রবিবার আদালতে তোলে ৫ দিনের জন্য রিমান্ডে আনার আবেদন করা হয়েছে বলে জানান কচুদরম থানার ওসি খনেন্দ্র নাথ।