অনলাইন ডেস্ক : শিলচরের ঐতিহ্যবাহী গুরুচরণ কলেজের অধ্যক্ষ বিভাস দেব ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর সদস্য পদ নিয়েছেন। এই সংবাদকে ঘিরে জেলার শৈক্ষিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। যদিও বিভাসবাবু নিজে এ নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।
সোমবার এ নিয়ে বিভাসবাবুকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি অনেকটা পাশ কাটানোর ঢংয়ে বলেন, সদস্য পদ নেওয়া বা নেওয়া ভিন্ন কথা। তবে এবিভিপির “ওয়েব পেজ”-এ যে ছবি আপলোড করা হয়েছে এর সঙ্গে এই ব্যাপারটার কোনও সংযোগ নেই। তিনি দাবি করেন এবিভিপি-র সদস্যরা পড়ুয়াদের কিছু সমস্যা নিয়ে তার কাছে গিয়েছিলেন। তখন তারা তার হাতে দাবি পত্র তুলে দিতে গিয়ে একটি ছবিও নেন। এই ছবিই আপলোড করা হয়েছে “ওয়েব পেজ”-এ। যদিও ছবিতে দেখা গেছে পড়ুয়াদের সঙ্গে তিনি যৌথভাবে যে কাগজ ধরে রয়েছেন তা এবিভিপির সদস্য ভর্তির ফর্ম। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে বিভাসবাবু ফের এড়িয়ে যান ব্যাপারটা।
বিভাসবাবু ব্যাপারটা এড়িয়ে গেলেও, কলেজের ছাত্র সংসদের সভাপতি এবিভিপির কর্মকর্তা রোহিত চন্দ জোর গলায় দাবি করেন, ছবিটা সদস্য ভর্তির ফর্ম নেওয়ারই। ছবিতে রোহিত ছাড়াও দেখা গেছে সংগঠনের কর্মকর্তা কলেজের ছাত্র সংগঠনের অন্যান্য সদস্য তুষার ঘোষ, স্নেহাংশু শেখর ভট্টাচার্য ও রাকেশ সিংদের। রোহিত জানান, অধ্যক্ষ বিভাস বাবু অন্যান্যদের মতো ১০০ টাকা “ফি” দিয়েই সংগঠনের সদস্যপদ নিয়েছেন। একইভাবে সদস্যপদ নিয়েছেন ওই কলেজেরই অতিথি প্রভাষক সৈকতেেন্দু দেবরায়।
রোহিত আরও জানান, তাদের সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী কলেজ শিক্ষকদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গত ১ আগস্ট থেকে শুরু হয় শিক্ষক সদস্য ভুক্তি অভিযান, শেষ হয়েছে ৭ আগস্ট সোমবার। শুধু বিভাসবাবু বা সৈকতেন্দুবাবুই নন, রাজ্যের অন্যত্র আরও অনেক কলেজ শিক্ষকই এই কদিনে যোগ দিয়েছেন সংগঠনে।
এদিকে অসম কলেজ শিক্ষক সংস্থা (এ সি টি এ)-র কাছাড় জোনের সম্পাদক হেমন্ত বরাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, সঠিকভাবে তিনি সবকিছু জানেন না। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নজরে এসেছে ব্যাপারটা। আর বাস্তবে যদি এমনটা হয়ে থাকে তবে বলতে হয়, ব্যাপারটা ঠিক হয়নি মোটেই। হেমন্ত বরার কথায়, অধ্যক্ষ বা কলেজের অন্য কোনও শিক্ষকের উচিত সব ছাত্র সংগঠনকে এক নজরে দেখা। কিন্তু তারা কোনও বিশেষ ছাত্র সংগঠনের সদস্যপদ নিলে পক্ষপাতিত্বের একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়। যা কাম্য নয় মোটেই।