অনলাইন ডেস্ক : সরকারের কড়াকড়িতে কিছু দিনের জন্য স্তিমিত হয়ে পড়েছিল সবকিছু। তবে সময় গড়াতেই ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে ভূ-মাফিয়ারা। দিন কয়েক আগে শিলচর রংপুরে জমি জবর দখলকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছিল শোরগোল। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই এবার শহরের অভিজাত এলাকা অম্বিকাপট্টিতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এই অভিযোগ জানিয়েছেন শিলচর পুরাতন লক্ষ্মীপুর রোডের প্রবীণ বাসিন্দা, সমাজকর্মী মুজিবুর রহমান বড়ভূইয়া। শিলচরে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তিনি বলেন, শিলচর টাউন মৌজার অম্বিকাপুর অষ্টম খণ্ডে অম্বিকাপট্টি থেকে কলেজ রোড যাওয়ার পথে নিয়ন রোডের পার্শ্ববর্তী ২১ কাঠা জমির উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক তিনি ও তাঁর তুতো ভাইয়েরা। কারণ, জমির প্রকৃত মালিক ছিলেন টিকরবস্তির বাসিন্দা প্রয়াত আব্দুল সহিদ লস্করের কন্যা প্রয়াত কমুরুন নেসা। আর কমুরুন নেসা হলেন তাঁর মা। সেই কমুরুন নেসা ও অপর অংশীদারগণ শনিমন্দির এর দক্ষিণ সীমানার নিয়ন রোড সংলগ্নে রিঃ জরিপা ২৩৭ নম্বর পাট্টার ২১৮১ দাগের রিঃ জরিপা ৭৯৪ নম্বর পাট্টার ১৬৭০,১৬৮৩, ২০০৯, ২০০৬, ২০১২/৫৪৬২, ২১৪৫, ২১৭৯, ২১৮০ দাগের জমিতে মালিক ও দখলকার ছিলেন। কিন্তু মুজিবুরবাবুর শৈশবেই মাতৃবিয়োগ ঘটে। পরর্তীতে তিনি জমির সরকারি রেকর্ড পত্র ঘেঁটে দেখতে পান, উল্লেখিত দাগ পাট্টা ছাড়াও আরও কিছু দাগ পাট্টার জমিতে তাঁর মায়ের নামের স্থলে তাঁর অর্থাৎ মুজিবুর রহমান ও অন্য অংশীদারদের নামে যথারীতি নামজারী আছে। এরপর তিনি ও তাঁর তুতো ভাইয়েরা যখন ওই জমির জমির সীমানা নির্ধারণের জন্য অকুস্থলে যান, তখন স্থানীয়দের একাংশ তাঁদের বাঁধা দেন। মুজিবুর রহমান বলেন, বাধ্য হয়ে সে সময় জমির রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য নেওয়া হয় আশ্রম রোড এলাকার নিশিকান্ত সরকারের। পরবর্তীতে নিশিকান্তের পরামর্শে মীনাক্ষী সিনহা ও রঞ্জিত দাস নামের দুই ব্যক্তিকে ওই জমির ‘পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি’ প্রদান করা হয়। কিন্তু একসময় তাঁর অজ্ঞাতে ওই জমি বিক্রি হচ্ছে বলে খবর আসার পর সেই পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি বাতিল করা হয়। ইতিমধ্যে দু বছর কেটে গেছে। সম্প্রতি খবর জানা যায় যে, শিলচর চেংকুড়ি রোড এলাকার সুজিত দাস চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি সেই জমি প্লট আকারে বিক্রি করার হোর্ডিং টাঙিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ওই জমির প্রকৃত মালিক হিসেবে গত ৬ ফেব্রুয়ারি শিলচর আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
এসব কথা উল্লেখ করে জমি ক্রেতাদের ওই দুষ্টচক্রের ফাঁদে পা না ফেলার আবেদন রাখেন মুজিবুর। সংবাদ মাধ্যমকে নথিপত্র তুলে দিয়ে তিনি জানান, ওই জমি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা ঝুলছে। শিলচর সিভিল জজের আদালতেও মামলা হয়েছে। সেই মামলা নম্বর ২০/ ২৩।শুধু তাই নয় ওই জমি কেনা বেচার ক্ষেত্রে শিলচর আদালতের স্থগিতাদেশ ও রয়েছে। স্বাভাবিক কারণে এ পরিস্থিতিতে যারা না জেনে না বুঝে ওই জমি ক্রয় করবেন, তারা আক্ষরিক অর্থে প্রতারকের ফাঁদে পা দেবেন।