অনলাইন ডেস্ক : শিলচর এনআইটিতে মারপিটের ঘটনার রেশ শেষঅবধি থানা পর্যন্ত গড়াল। সিনিয়রদের আক্রমণে গুরুতর আহত জুনিয়র ছাত্রের বাবা থানায় মামলা করেছেন। আর এই বিষয়ে তদন্তের জন্য খোদ মাঠে নেমেছেন কাছাড়ের পুলিশ সুপার নুমোল মাহাতো। গত ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র সিদ্ধান্ত পোথোকে মারধর করেছিল তাঁর সিনিয়ররা। বর্তমানে সিদ্ধান্ত শিলচরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। সিদ্ধান্তের বাবা সুদীপ পোথো ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত ১৮ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে ঘুংঘুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এফআইআর পাওয়ার পর ঘুংঘুর আউট পোস্টের ইনচার্জ বুদ্ধি মুক্তিয়ার ১৮ জন অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা রেজিস্ট্রার করেছেন।
তথ্য অনুযায়ী, শিলচর থেকে চতুর্থ সেমিস্টারের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র সিদ্ধান্ত পোথো শুক্রবার এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে তার গাড়িতে হোস্টেলে গিয়েছিল। পরে ছাত্রাবাস থেকে বেরিয়ে দেখেন, গাড়ির চাকা ফেটে গেছে। ইতিমধ্যে দেরি হয়ে যাওয়ায় ছাত্রটি রাতভর হোস্টেলে থাকে। পরের দিন সকালে, তিনি একজন বন্ধুকে ফোন করেছিলেন এবং সাহায্যের জন্য একজন মেকানিককে ডেকেছিলেন। মেকানিক জানায়, গাড়ির চাকা কাটা হয়েছে । জিজ্ঞাসাবাদের পর সিদ্ধান্ত জানতে পারলেন যে হোস্টেলের কয়েকজন সিনিয়র ছাত্র এই ঘটনা ঘটিয়েছে।এনিয়ে এনআইটি শিলচরের নির্দেশক প্রোফেসর রজত গুপ্ত জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ারের ডিন, অন্যান্য ফেকাল্টিদের নিয়ে তড়িঘড়ি বৈঠক করেন। ঘটনা নিয়ে তিনি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।