অনলাইন ডেস্ক : উত্তর হাইলাকান্দির ভাঙা বাঁধগুলো উন্মুক্ত রয়েছে।বর্ষা মাথার উপর।কিন্তু এখনও গভীর নিদ্রায় জলসম্পদ বিভাগ।বর্ষা যখন ঘনিয়ে আসবে তখন নিদ্রাভঙ্গ হবে বিভাগীয় কর্মকর্তাদের।শুরু হবে বাঁধ নিয়ে দৌড়ঝাঁপ।তখন এসব আর কোনও কাজে আসবে না। নেহাৎ লোক দেখানো আর অর্থের অপচয় ছাড়া কিছুই হবে না।বন্যা ধুয়েমুছে সাফ করে দেবে কৃষকদের উৎপাদিত সব ফসল। আর এর ফাঁকে জলসম্পদ বিভাগের ঠিকাদাররা রাতারাতি বিত্তবানদের তালিকায় স্থান পেয়ে যান। বিশেষকরে উত্তর হাইলাকান্দির বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলোর মধ্যে সবই উন্মুক্ত রয়েছে। কিন্তু এসব বাঁধের উপর আর্থিক মানদণ্ড নির্ভর করে উত্তর হাইলাকান্দির ৪০ হাজার পরিবারের। প্রতি বছর বন্যার দাপটে বাঁধগুলো ভেঙে যায়।এতে কৃষকদের ফসল নষ্ট হয়।যার দরুন প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েন কৃষকরা। কোনও স্থানে পুরনো বাঁধ খুঁড়ে মেরামতের করা হচ্ছে। কোনও স্থানে লাল মাটি ফেলে দায়সারা কাজ করা হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। তাঁদের মতে,কালীনগর ও পাঁচগ্রাম ধলেশ্বর জিরো পয়েন্টে বাঁধ মেরামতের কাজ মোটেই সন্তোষজনক নয়।এখানেও খুব নিম্নমানের কাজ হয়েছে।সহজেই বন্যার জলের তোড়ে ভেসে যাবে বাঁধ। অথচ হাইলাকান্দি জেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হচ্ছে এই ধলেশ্বর জিরো পয়েন্ট।প্রতি বছর বন্যায় ধলেশ্বরের বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন হয় ১৫৪নং জাতীয় সড়ক।আর এর প্রভাব পড়ে গোটা হাইলাকান্দি জেলায়।গত বছর প্রায় এক মাস ধলেশ্বর জিরো পয়েন্ট জলের তলায় ছিল।এতে লক্ষ লক্ষ টাকার লোকসান হয় হাইলাকান্দি জেলার।অনেক মুমূর্ষু রোগীর মৃত্যু হয় ধলেশ্বরে আটকে পড়ে।এরপরও এখানে মজবুতভাবে বাঁধ নির্মাণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।কিছু পাতি নেতার পকেট ভারি করার জন্যই চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।