অনলাইন ডেস্ক : দাবি মতো উৎকোচ না দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘরের তালিকা থেকে নাম কেটে দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা। জিপির কতিপয় লোকের এমন অভিযোগে সোনাই উন্নয়ন খণ্ডের অধীন কচুদরম জিপিতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে জিপি সভাপতি অপুকুমার দাশের পৌরোহিত্যে কচুদরম জিপি অফিসের সভাকক্ষে এক নাগরিকসভা অনুষ্ঠিত হয়। আর এতে দাবি মতো উৎকোচ না দেওয়ায় পিএমএওয়াই তালিকা থেকে সুবিধাপ্রাপকদের নাম পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা কেটে দিয়েছেন বলে কিছু লোক অভিযোগে তুললে নাগরিকসভায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।এদিনের নাগরিকসভায় বক্তব্য রাখেন জিপি সভাপতি অপুকুমার দাশ। তিনি বলেন,পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের চরিত্র কালিমালিপ্ত করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে।তিনি অভিযোগটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করে বলেন,সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন।আর এদিকে লক্ষ্য রেখে নোংরা রাজনীতি করা হচ্ছে। তিনি অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই বলে দাবি করেন।তিনি বলেন,জিপির আবাস প্লাস তালিকায় ১০৩টি নাম বাতিল তালিকায় রয়েছে। কিন্তু এর মানে নাম কেটে দেওয়া নয়।তাছাড়া পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা বাতিল করেছেন সেটা কিন্তু নয়। শুধু কচুদরম জিপিতে নয় গোটা রাজ্যে এমন হয়েছে।তিনি স্বীকার করে বলেন,কিছু দরিদ্র মানুষের নাম বাতিল তালিকায় রয়েছে।সভায় গ্রুপ সদস্যা হাসিনা বেগমের প্রতিনিধি দিলোয়ার হোসেন বড়ভূইয়া বলেন,এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন ঘর দিতে তার কাছে তিনি নাকি টাকা দাবি করেছেন।আসলে তালিকায় ওই ব্যক্তির নামই নেই। নাগরিকসভায় তিনি সাফ বলেন,অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে তিনি জনসাধারণের যে কোনও রায় মাথা পেতে নেবেন। নাগরিকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্থানীয় নাগরিক আলি হোসেন লস্কর বলেন,এই অভিযোগ করেছেন তার এক প্রতিবেশী। তিনি ওই ব্যক্তির কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,কেউ তার কাছে টাকা দাবি করেননি। তাকে সংবাদমাধ্যমের কাছে এমন কথা বলতে বলা হয়েছিল।এছাড়া পিএমএওয়াই ঘর পেতে জিপি সভাপতি কারও কাছ থেকে এক টাকাও দাবি করেননি বলে উপস্থিত নাগরিকরা জানান। নাগরিকসভায় বক্তব্য রাখেন এপি সদস্য এমইউ মিজুনুর রহমান লস্কর,গ্রুপ সদস্যর প্রতিনিধি নাজির হোসেন লস্কর,নাগরিক আলি হোসেন লস্কর প্রমুখ।নাগরিক সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন এপি সদস্য কাদির হোসেন লস্কর,সচিব তাজুল হক লস্কর,উপ সভানেত্রীর প্রতিনিধি সাহা আলম লস্কর প্রমুখ।