অনলাইন ডেস্ক : উধারবন্দ থানার অন্তর্গত বড়শিঙ্গা, বাঘেরকোনা ও ঠালিগ্রাম এলাকায় অর্কেস্ট্রা অনুষ্ঠান উপলক্ষে বেপরোয়া জুয়া চলার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে শীত একটু পড়তেই এসব অনুষ্ঠানের অবকাশে ঝান্ডিমুন্ডার আসর বসছে মাঠে ঘাটে। এসবে মত্ত হয়ে পকেট খালি হচ্ছে যুব প্রজন্মের। স্থানীয়দের অভিযোগ অনুসারে , জুয়ার বিরুদ্ধে উধারবন্দ থানার পুলিশের কাছে সম্প্রতি দু একবার সূচনা দেওয়া হলে তারা দলবল নিয়ে এলেও জুয়াড়িদের পাকড়াও করতে সক্ষম হয়নি। অভিযোগ মতে, পুলিশের কোনও একটি জুয়াড়িদের আগে থেকে সতর্ক করে দেওয়ার ফলে তারা জুয়ার দান নিয়ে লুকোচুরি চালিয়ে নয়া ডেরায় আসর বসায়। উধারবন্দ , ঠালিগ্রাম ও শালগঙ্গা প্রভৃতি অঞ্চলের গ্রামরক্ষী বাহিনীর দিকেও আঙুল উঠছে। কেননা , পুলিশ ও ভিডিপির “আশীর্বাদ” ছাড়া কোনওভাবেই জুয়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় একটি দালালচক্র বহুদিন থেকে জুয়াড়িদের কাছ থেকে আগাম মোটা টাকা আদায় করছে বলেও সূত্রে প্রকাশ।
প্রসঙ্গত ঠালিগ্রামের জনৈক বর্মন ও দাস পদবীর দুই ব্যক্তির সঙ্গে উধারবন্দের দুই ভিডিপি কর্মকর্তা মিলে বৃহত্তর এলাকায় জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা যায়। এরা কেবল সিজন্যাল ঝান্ডিমুন্ডা নয়, বরং “বারোমাসি” জুয়া বহাল তবিয়তে চালানোর ক্ষেত্রে পুলিশকে সাহায্য করে থাকে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে প্রকাশ।
ইদানীং উধারবন্দ পুলিশের একটি সূত্র দাবি করে বলেছিল যে , জুয়া নাকি সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা হয়েছে এলাকা থেকে। কিন্তু এসব কথা নেহাত মিথ্যে এবং অন্তঃসারশূন্য বলে মন্তব্য করলেন উধারবন্দ ও শালগঙ্গার কিছু বিশিষ্ট নাগরিক। তাঁদের সাফ কথা , পুলিশ ও প্রশাসন যাতে যুবপ্রজন্মকে উচ্ছন্নে না যেতে সহায়তা করে নিজেদের আর্থিক উপার্জনের মোহ ত্যাগ করে।