অনলাইন ডেস্ক : উধারবন্দে বিজেপির সদস্য ভর্তি অভিযানকে সামনে রেখে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগ দিতে গিয়ে মঙ্গলবার বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক কনাদ পুরকায়স্থ। এই ঘটনাকে ঘিরে দলের অভ্যন্তরে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র আলোড়নের।
এদিন উধারবন্দ বিজেপি কার্যালয়ে ছিল সদস্য ভর্তি অভিযানের মণ্ডল ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা । কথা ছিল এতে উপস্থিত থাকবেন দলের উধারবন্দ মণ্ডলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয় জ্যোতি দে এবং চা মোর্চার জেলা সভাপতি তথা সদস্য ভর্তি অভিযানের জেলা কমিটির সদস্য সঞ্জয় ঠাকুর। কর্মশালা শুরুর কিছুক্ষণ আগে কার্যালয়ে উপস্থিত হন কনাদ পুরকায়স্থ। তিনি পৌঁছার পর থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে । প্রশিক্ষণ নিতে হাজির কিছু কর্মী হল ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে যান । এসবের মাঝে জয়জ্যোতি দে এবং সঞ্জয় ঠাকুরও কার্যালয়ে পৌঁছান । কিন্ত হল খালি দেখে তারা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা কর্মীদের এ নিয়ে জিজ্ঞেস করেন। তখন বাইরে থাকা ওই কর্মীরা জানান প্রশিক্ষণ নিতে তাদের সমস্যা নেই, তবে কর্মশালায় কনাদ পুরকায়স্থ উপস্থিত থাকলে তারা অংশ নেবেন না। জয়জ্যোতি দে বুঝানোর চেষ্টা চালালে ওই কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে উঠেন। তাদের কয়েকজনকে “কণাদ গো ব্যাক” স্লোগান দিতেও শোনা যায়। এই পরিস্থিতিতে কনাদ বলেন তিনি কর্মশালায় থাকবেন না। কিছুক্ষণ পর তিনি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান। আর অনুষ্ঠিত হয় কর্মশালা।
এদিকে সুশৃংখল দল হিসেবে পরিচিত বিজেপিতে এমন ঘটনা ঘটার জেরে এনিয়ে দলের অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। এর পেছনে ২০২৬ এর নির্বাচনকে ঘিরে টিকিট কেন্দ্রিক লড়াই রয়েছে বলে দলের বিভিন্ন মহলের অভিমত। দলীয় এক সূত্র বলেন, বর্তমান বিধায়ক মিহির কান্তি সোমের পাশাপাশি ২০২৬-এ উদারবন্দে দলের টিকিটে লড়তে আগ্রহী মন্ডল সভাপতি নবারুণ চক্রবর্তীও। এর সঙ্গে আবার শক্ত দাবিদার হিসেবে উঠে আসছে কনাদ পুরকায়স্থের নামও।
সূত্রটির কথায়, এদিন যারা কনাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছেন তারা নবারুন চক্রবর্তীর কাছের লোক হিসেবে পরিচিত। সূত্রটি আরও জানান, দলের জেলা নেতৃত্ব শৃঙ্খলাভঙ্গের এই ব্যাপারটাকে খুব সহজে দেখছেন না। তাই কারো কারো উপর শাস্তির খাড়া নেমে আসার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।