অনলাইন ডেস্ক : ধ্বংস হচ্ছে উত্তর করিমগঞ্জের বনজ সম্পদ। মার খাচ্ছে সরকারি রাজস্ব। অথচ এ নিয়ে করিমগঞ্জ বন বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিক সহ জেলা প্রশাসন নীরব। জেলা বন বিভাগের প্রত্যক্ষ মদতে উত্তর করিমগঞ্জের বারোপাড়ায় অবৈধ চেরাকাঠের রমরমা ব্যবসার এক অভিযোগ পাওয়া গেছে। উত্তর করিমগঞ্জের পাথু-সুরিগ্রাম জিপির বারোপাড়া নামক স্থানে এক কাঠ বিক্রির দোকানে রীতিমতো সাইনবোর্ড লাগিয়ে ভেতরে চলছে গাছের ধংসযজ্ঞ। বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের মদতেই এসব ধংসলীলা চলছে বলে স্থানীয় জনগণের সন্দেহ। কেননা জেলা বন আধিকারিকের কার্যালয়ের হাতে গোনা দূরত্বে চলছে এই কাঠ চেরাই কারখানা।এদিকে এই অভিযোগ স্বচক্ষে দেখতে গিয়ে কারখানা মালিক শংকর চৌধুরীর নানা প্রশ্নবানে পড়তে হয়েছে সংবাদকর্মীদের।
টিম্বারের স্বত্বাধিকারী নিজেকে শাসকদলের কর্মী পরিচয় দিয়ে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে ভয় দেখিয়ে অবৈধ চেরাকাঠের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় মানুষের মতে, জেলার সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ)-এর প্রতক্ষ মদত রয়েছে এই অবৈধ ব্যবসায়। এদিকে করিমগঞ্জের জেলা বন আধিকারিক (ডিএফও)-কে গত এক সপ্তাহ আগে এ নিয়ে অভিযোগ জানানো হলেও তিনি কোনও কর্ণপাত করেননি।
স্থানীয় সংবাদকর্মীরা বারকয়েক চেষ্টা করেও ডিএফও এবং এসিএফের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তবে এ বিষয়ে ফোনযোগে ডিএফওকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, এভাবে মেশিন দিয়ে কাঠ চেরাই সম্পূর্ণ অবৈধ।এসব কাজের জন্য কোনও অনুজ্ঞাপত্র নেই।তবে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও আজ অবধি কাজে পরিণত হয়নি। এ নিয়ে বন আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে এলাকায় সন্দেহ বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, মানবজীবনের বেঁচে থাকার অন্যতম উৎস প্রদান করে গাছপালা।বন-জঙ্গল ও পাহাড়ি এলাকায় নিজে থেকেই জন্মায় বৃক্ষ।তবে একদিকে জনসংখ্যার চাপে বনভূমি ক্রমশ হ্রাস পাওয়ার ফলে এর প্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপর।বরাক উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় বনভূমির পরিমাণ কমে আসায় এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে আবহাওয়ায়। বাতাস দূষিত হচ্ছে,ক্ষয় হচ্ছে মাটি।পর্যাপ্ত বনভূমি না থাকায় অনাবৃষ্টি দেখা দিচ্ছে। ফলে নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর।এই অবস্থায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বন আধিকারিকদের এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন জনগণ।