অনলাইন ডেস্ক : বিজেপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই বিক্ষুব্ধ হয়ে দলের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নির্দল হিসেবে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়ার ঘোষণা করেছিলেন অমিয় কান্তি দাস। তবে এরপর আবার তিনি “ম্যানেজ” হয়ে যাচ্ছেন বলে বিভিন্ন মহল থেকে প্রচার চালানো হচ্ছিল। যদিও সব সংশয় দূর করে শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার তিনি নির্দল হিসেবে পেশ করেন মনোনয়নপত্র।
বিজেপি প্রার্থী নীহার রঞ্জন দাস এদিন দুপুরে মনোনয়নপত্র পেশ করার আগেই সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ সঙ্গে শ’দুয়েক সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র পেশ করতে জেলা কমিশনারের কার্যালয়ে পৌঁছান অমিয়বাবু। সঙ্গে ছিলেন তার পত্নী মুক্তা চক্রবর্তী দাস এবং কন্যা অভিসিক্তা দাসও
মনোনয়নপত্র পেশ করার পর এদিনও নীহার রঞ্জন দাসকে ধলাইয়ে বহিরাগত বলে উল্লেখ করে জোর গলায় দাবী করেন ধলাইবাসী রয়েছেন তার সঙ্গেই। কারণ পরিমল শুক্লবৈদ্য ধলাইর বাইরের একজন লোককে যেভাবে বিজেপির টিকিট পাইয়ে দিয়েছেন, তা ভোটাররা মেনে নিতে পারছেন না। সঙ্গে এও বলেন, দীর্ঘ পরিমল জমানার বিভিন্ন কাজকর্মে ধলাইবাসী বিতশ্রদ্ধ হয়ে রয়েছেন। এসবের বিরুদ্ধে তো কাউকে না কাউকে লড়াই শুরু করতেই হত। ধলাইবাসীর মতামত নিয়ে এবার তিনি শুরু করেছেন লড়াই। তাই এই লড়াই তার একার নয়, গোটা ধলাইবাসীর লড়াই।
অমিয়বাবু প্রত্যয়ের সুরে এও বলেন, তিনি উত্থানের জন্য নির্বাচনী যুদ্ধে নেমেছেন, পতনের জন্য নয়। সঙ্গে এও বলেন, ঈশ্বর ছাড়া তিনি কাউকেই ভয় করেন না। যে যা খুশি করার চেষ্টা চালাক না কেন, ধলাইবাসীর সহায়তায় তিনি নির্বাচন লড়বেন অকুতোভয় হয়ে। আর জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে তার বক্তব্য,ধলাইবাসী যেহেতু তার সঙ্গে রয়েছেন, তাই জয় নিয়ে তিনি নিশ্চিত। আর এক্ষেত্রে বিজেপি প্রার্থী থাকবেন তৃতীয় স্থানে।