অনলাইন ডেস্ক : ইতালি থেকে ভারতে এসে সোনিয়া গান্ধী যদি এদেশের সাংসদ হতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশ থেকে আসা নীহার রঞ্জন দাশ কেন বিধায়ক হতে পারেন না, এমনটাই প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার। মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারে পালংঘাটে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অখন্ড ভারতের অংশ ছিল, সেখানে হিন্দুদের সঙ্গে কি ধরনের অত্যাচার হয়েছে আমরা সবাই জানি।’কংগ্রেস এবং এবং বিজেপির কিছু নেতার মতে নীহার রঞ্জন দাশের পরিবারের লোকেরা এখনও বাংলাদেশে থাকেন। বিজেপি তাকে ধলাই আসনে প্রার্থী করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বারবার নীহার রঞ্জন দাশের পক্ষে নানান যুক্তি দিয়েছেন। তার মতে, নীহার রঞ্জনের নাম এনআরসিতে রয়েছে, তার ভারতীয় হওয়ার পর্যাপ্ত প্রমান রয়েছে, তিনি এদেশে পড়াশোনা করেছেন। তবে পালংঘাটে নীহারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এবং সেখানেই টেনে আনেন সোনিয়া গান্ধীর প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ একসময় অখন্ড ভারতের অংশ ছিল। তবে ১৯৭১ সালের আগে সেখানে হিন্দুদের ওপর কি ধরনের অত্যাচার হয়েছে, আমরা সবাই জানি। কেন হিন্দুরা নিজের ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিলেন, এটা কারো অজানা নয়। নীহার রঞ্জনের পরিবার আইনত ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছে এবং এখানে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে। অনেকেই তার বাংলাদেশ থেকে আসা নিয়ে প্রশ্ন করছেন। আমি বলব, ইতালি থেকে এসে সোনিয়া গান্ধী যদি এদেশের নেতা হতে পারেন, বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে এসে নীহার রঞ্জন দাস কেন বিধায়ক হতে পারেন না। ইতালি তো কখনো অখণ্ড ভারতের অংশ ছিল না।’সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং সেখানে বলা হয়েছে ১৯৭১ সালের পরে আসা লোকেদের ভারতীয় বলে গণ্য করা হবে না। এছাড়া কেন্দ্র সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু সহ ছয়টি সম্প্রদায়ের লোকেদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ আদালত যেখানে বলছে, বাংলাদেশ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত অসমে আশ্রয় নেওয়া লোকেদের ভারতীয় বলেই গণ্য করা হবে, সেখানে অযথা নীহার রঞ্জন দাশের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণ নেই। তার পরিচয় নিয়ে আমরা আশ্বস্ত, তিনি আমাদের পরিবারের লোক এবং সেই পরিবারের প্রধান হিসেবে তার হয়ে কথা বলছি।’