অনলাইন ডেস্ক : ঈদের দিন পঞ্চায়েত রোডে হিংসা কান্ডের পর পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও শিলচরের অন্যান্য এলাকায় বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। যার দরুন বিরাজ করছে চাপা উত্তেজনা। মাছিমপুর রোডের সরাইল এলাকার বাসিন্দা আব্দুর শুক্কুর বড়ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তি শুক্রবারে রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ বলেরো গাড়িতে চড়ে যাওয়ার সময় শিলচর তারাপুর ইএন্ডডি কলোনি এলাকায় হামলার শিকার হন। আব্দুর শুক্কুর তার পরিবারের লোকেদের নিয়ে বলেরো গাড়িতে চড়ে যাচ্ছিলেন। একদল দুষ্কৃতী পাথর মেরে তার গাড়িতে ভাংচুর চালায়। এতে আহত হন গাড়িতে থাকা তার পত্নী আয়েশা সুলতানা। সঙ্গে আহত হয়েছে এক শিশুও। এভাবে পাথর বর্ষণের মাঝে চালক কোনোক্রমে গাড়ি চালিয়ে সেখান থেকে সরে যান। এরপর আশ্রয় নেন অরুণাচল পুলিশ ফাঁড়িতে। আব্দুর শুক্কুর এ নিয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। আয়েশা সুলতানা ও ওই শিশুকে চিকিৎসার জন্য পুলিশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ রামনগর এলাকায় রায়গড়ের বাসিন্দা মুন্না সাহানি ও তার একসঙ্গী গোপাল দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন। যদিও কিছুটা আহত হয়ে তারা কোনক্রমে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। এ নিয়ে তারাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে দায়ের করা হয়েছে এজাহার। এছাড়া তারাপুর গুণময়ী রোডের বাসিন্দা সুমন বৈষ্ণব নামে এক যুবকও এদিন থানার তার উপর আক্রমণের অভিযোগ এনে দায়ের করেছেন এজাহার। সুমন অভিযোগ করেছেন তিনি ও তার কয়েকজন সঙ্গী বৃহস্পতিবার বিকেলে চিরুকান্দি হয়ে যাবার সময় তাদের মারধর করে সঙ্গে থাকা টাকা ও অন্যান্য সামগ্রী ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে পঞ্চায়েত রোডের বাসিন্দা আজাহার মজুমদার নামে এক যুবক সোশ্যাল মিডিয়ায় কৈবর্ত সম্প্রদায়ের মহিলাদের ঘিরে আপত্তিজনক মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ এনে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন বিজেপি কর্মকর্তা রাজেশ দাস। এছাড়া বরাক উপত্যকা কৈবর্ত সমাজ উন্নয়ন পরিষদও এ নিয়ে সরব হয়েছে। পঞ্চায়েত রোডের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এসব কথা জানার পর তারা পুলিশকে ডেকে দেখিয়ে দিয়েছেন আজাহারের আস্তানা। যদিও পুলিশের এক সূত্র জানিয়েছেন, আজাহারকে পাওয়া যায়নি। তবে সে তার মায়ের মোবাইল ব্যবহার করে থাকে। সেই মোবাইল বাজেয়াপ্ত করার সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হয়েছে তার মাকেও।