অনলাইন ডেস্ক : বিজেপি সরকারের সহযোগিতায় এলআইসি ও স্টেট ব্যাঙ্কের সাধারণ গ্রাহকদের ধন লুন্ঠনের আর্থিক প্রবঞ্চনার অভিযোগ উত্থাপন করে গর্জে উঠলেন করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব।বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে জেলা কংগ্রেস সভাপতি রজত চক্রবর্তী বলেন,’বিত্তশালীদের তোষণ এবং সাধারণ মানুষদের শোষণ’ নরেন্দ্র মোদি সরকারের আচ্ছে দিনের বাস্তবায়ন।নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটি এবং আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বৃহস্পতিবার করিমগঞ্জ ইন্দিরা ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা কংগ্রেস সভাপতি রজত চক্রবর্তী সহ শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা বলেন,২০১৪ সালে কেন্দ্রে সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন নরেন্দ্র মোদি।বিজেপি সরকার শাসনক্ষমতায় বসার পর সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা প্রেরণ,পেট্রোল -ডিজেল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা সহ একাধিক প্রতিশ্রুতি বেমালুম ভুলে যান প্রধানমন্ত্রী।দীর্ঘ আটবছর কেন্দ্রে শাসনাধীন থেকে শুধু আদানির মতো পুজিপতিদের ব্যবসা প্রসারে সহযোগিতা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি,এই অভিযোগ করেন কংগ্রেস সভাপতি রজত চক্রবর্তী।তিনি বলেন,গৌতম আদানি এবং পর্দার আড়ালে থেকে বিনোদ আদানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সহায়তা লাভ করে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা নির্ধারিত সময়ে ফিরিয়ে দেননি।রীতিমতো এলআইসি এবং স্টেট ব্যাঙ্ককে ঋণ প্রদানে প্রধানমন্ত্রী বাধ্য করিয়েছেন বলে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন কংগ্রেস সভাপতি।বলেন, পাঁচ বছর আগে শিল্পপতিদের তালিকায় ৬০৯ নম্বরে থাকা আদানি গ্রুপ এখন দু-নম্বরে কিভাবে চলে আসে সেটা আজ দেশবাসীর প্রশ্ন।ইতিমদ্গ্যে দেশজুড়ে আদানি কাণ্ড নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা রাহুল গান্ধী সংসদে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভারত সরকারের বিমানে কতবার নরেন্দ্র মোদি এবং গৌতম আদানি একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন।কিন্তু সংসদে কোনও প্রশ্নের যেমন সঠিক উত্তর প্রধানমন্ত্রী নিজে দেননি তেমনি রাহুল গান্ধীকে কথা বলার সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।তবে এভাবে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করে গণতন্ত্রের হত্যা করা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে ফলে হুমকি দেন করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেস সভাপতি রজত চক্রবর্তী।বলেন,কংগ্রেস এতদিন ক্ষমতায় থেকে মানুষের কাজ করেছে।এখন বিরোধী আসনে থেকে মানুষের জন্য লড়াই করে যাবে। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল মুক্তাদির চৌধুরী,শহর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি তাপস পুরকায়স্থ,দুল্লভছড়া ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মনজির আলি,রামকৃষ্ণনগর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি হিমাংশুশেখর দেবরায়,পাথারকান্দি ব্লক কংগ্রেস সভাপতি রফিক উদ্দিন,মওলানা আব্দুল ওয়ারিস,নবেন্দু শর্মা পুরকায়স্থ,শুভজিৎ চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।