অনলাইন ডেস্ক : মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সেজে উঠছে বাংলাদেশ। আয়োজনের অংশ হিসেবে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আশপাশের দেওয়ালগুলোতে শোভা পাচ্ছে বাংলাভাষা নিয়ে নানা স্লোগান, কবিতা ও বাণী। মাতৃভাষার জন্য ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথে আন্দোলনরত মিছিলে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ যায় অনেকের। অনেক শহীদের আত্মত্যাগে বাঙালি ফিরে পায় ভাষা বাংলা। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর প্যারিসে ইউনেসকোর ৩০তম অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভের পর ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে পৃথিবীর ১৮৮টি দেশে দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। একুশে ফেব্রুয়ারি প্রতিবছরই মর্যাদার সঙ্গে বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশে পালিত হয়ে আসছে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরায় ‘বাংলা ভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে ভাষা মাস হিসাবে পালিত হয়। এই উপলক্ষ্যে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাড়ে ১১ লক্ষ বর্গফুট জায়গা জুড়ে চলছে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা। লেখক-প্রকাশক আর বইপ্রেমী সাধারণ মানুষের পদচারণায় মুখরিত বইমেলা। প্রতিদিনই মুক্তিযুদ্ধসহ নানা বিষয়ের আসছে নতুন নতুন বই। মাসজুড়ে একুশে বইমেলায় দেশ-বিদেশের ব্যাপক সংখ্যক দর্শকের সমাগম ঘটে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিশেষ করে কলকাতা থেকে আসা দর্শকের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। প্রতিবছরের ন্যায় বাইসাইকেল নিয়ে কলকতা থেকে আসা দলটি শহীদ মিনারে শ্রদদ্ধা নিবেদন করবেন। মেলার কুড়িতম দিনে আসা নতুন বইয়ের সংখ্যা প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি। এবারের মেলায় ৪ হাজারের মত নতুন বই আসবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের। মেলায় প্রতিনিয়ত দর্শক আগমনের সংখ্যা বাড়ছে।