অনলাইন ডেস্ক : শিক্ষাগত যোগ্যতা মামলা নিয়ে ফের রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ আমিনুল হক লস্করকে তীব্র আক্রমণ শানালেন করিমউদ্দিন বড়ভূঁইয়া। শুক্রবার সোনাইর বিধায়ক বলেন, আমিনুল হক লস্কর মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আমাকে অপদস্ত করার চেষ্ঠা চালিয়েছিলেন। তা অগ্রাহ্য করেছে আদালত। পাশাপাশি এদিন আমিনুলকে দাঙ্গবাজ ও দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে করিমউদ্দিনের দাবি, পাঁচ বছরের কার্যকালে সোনাই বিধানসভা এলাকায় জঙ্গলরাজ কায়েম করেছিলেন আমিনুল।
করিম উদ্দিন এদিন বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ ও নিকৃষ্ট আমিনুল যতই চেষ্টা করুন না কেন সোনাইর উন্নয়ন স্তব্ধ করতে পারবেন না। সোনাই এলা্াকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।’ তিনি জানিয়েছেন, সম্ভবত শনিবার একসঙ্গে ১৬টি প্রকল্পের শিলান্যাস হবে।
করিমউদ্দিনের দাবি, ‘দুর্নীতিবাজ ও দাঙ্গাবাজ আমিনুলের হাত থেকে মুক্তি পেতেই সোনাইর শান্তিকামী জনতা আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছিলেন। কিন্ত ভোটে জিতেও নিস্তার নেই। নির্লজ্জের মত মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ভুয়ো মামলা করে সোনাইর উন্নয়নের গতি স্তব্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার অভিযোগ অগ্রাহ্য করেছে আদালত। চারটের মধ্যে তিনটে অভিযোগই ধোপে টেকেনি কোর্টে।’
সোনাইর বিধায়কের মন্তব্য, ‘জনপ্রতিনিধি হিসাবে অনেক সহ্য করেছি। কিন্তু তার মানে আমাকে দুর্বল ভাবার কারণ নেই।’ তিনি এদিন আমিনুলের বিরুদ্ধে প্রতারণা, মারপিট, দাঙ্গা-হাঙ্গামার ভুরি ভুরি অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। করিমউদ্দিনের মতে, সোনাইয়ে জঙ্গলরাজ কায়েম করেছিলেন আমিনুল। উন্নয়নের নামে অবাধে লুণ্ঠনরাজ চালিয়ে ছিলেন। বিধায়ক থাকালানী পাঁচ বছরে আমিনুল সোনাই থেকে ৮৫ কোটি লুঠ করে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, সোনাই বিধানসভা কেন্দ্রের আলাদা পরিচয় রয়েছে। ময়নুল হক চৌধুরী, আলতাফ হোসেন মজুমদার, আব্দুল রব লস্কর, কুতুব আহমেদ মজুমদারের মত জনপ্রতিনিধিরা নির্বিঘ্নে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন। অথচ আমিনুল এসেই সোনাইর মর্য্যাদাকে কলঙ্কিত করেছেন।
করিমউদ্দিনের কথায়, ‘২০১১ সালে ভোটে পরাজয় দেখে প্রয়াত বিধায়ক আনোয়ার হোসেন লস্করকে মেরেছিলেন আমিনুল। ২০২১ সালের নির্বাচনে তার জনসমর্থন নেই দেখে ধনেহরিতে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়েছিলেন। গুলি ছুড়েছিলেন। ধনেহরির মানুষ তাকে আটকে রেখেছিলেন। পরে পুলিশের উচ্চপদস্ত আধিকারিকরা তাঁকে উদ্ধার করেন।’ সোনাইর বিধায়কের কথায়, ভুয়ো তথ্য দেওয়ার দায়ে আদালতের সঙ্গে প্রতারণার অভিয়োগে আমিনুলের ঠাই হতে পারে জেলে।
এদিকে সোনাইয়ে উপনির্বাচন নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি ভুপেন বরার মন্তব্যে সোনাইর বিধায়কের প্রতিক্রিয়া, ‘ভূপেন বরা আদৌ কংগ্রেস দলের সভাপতি নন। তিনি আসলে বিজেপির এজেন্ট হিসাবে কাজ করছেন। তিনি সোনাইয়ে একজন ওয়ার্ড সদস্যকেও জেতানোর ক্ষমতা রাখেন না।’