অনলাইন ডেস্ক : আজাদি-কা-অমৃত মহোৎসব সমাপণ ও অমৃতকাল সূচনার অঙ্গ হিসেবে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জানিয়েছেন কাছাড়ের জেলা কমিশনার রোহন কুমার ঝা। শনিবার জেলাশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি বলেন, কর্মসূচিতে রয়েছে ‘শিল-ফলকম’ অর্থাৎ পাথরের ফলক। গ্রেনাইট পাথরে পাঁচ ফুট দৈর্ঘ্য ও তিন ফুট প্রস্থের ফলক তৈরী করে জেলার ১৬২টি জিপি সহ তিনটি পুরবোর্ডে তা লাগানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথম অগ্রাধিকার হিসেবে জিপিগুলোর অমৃত সরোবরকে বেঁছে নেওয়া হয়েছে। যদি কোনো জিপিতে অমৃত সরোবর না থাকে, সেই ক্ষেত্রে জিপি কার্যালয়, বাজার কিংবা হাইস্কুল সম্মুখে বসাতে হবে। এর ব্যয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগ থেকে প্রদান করা হবে। এই ফলক বসাতে হবে আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে। কোনও কারণবশত ফলক নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা না গেলে ওই দিনের জন্য ব্যানার লাগানোর কথা বলা হয়েছে। তবে আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে ফলক বসানোর কাজ শেষ করতেই হবে। পাশাপাশি ওইদিনই ফলকে জাতীয় পতাকা লাগাতে হবে। এতে বিডিও সহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জেলার ৪০টি জায়গায় গিয়ে আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সমাপন করবেন। দ্বিতীয় কর্মসূচী হিসেবে জেলাবাসীদের শিলফলকের মাধ্যমে উৎসাহিত করা হবে। এতে জনসাধারণকে ওই ফলকের সামনে দাঁড়িয়ে হাতে মাটি নিয়ে সেলফি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর পাঁচটি শপথ বাক্য পাঠ করানো হবে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে সেই পাঁচটি শপথবাক্য বাংলাভাষায় অনুবাদ করানোর প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে ডিডিসি রাজীব রায় জানান, তৃতীয় কর্মসূচী হিসেবে প্রত্যেক জিপি ও ইউএলবিতে ১৫ তারিখে এক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। এতে অবসরপ্রাপ্ত ১০০ সেনাকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী, পুলিশ কর্মী, শহিদ পরিবারের সদস্যদের গামছা পরিয়ে সম্মান জানানো হবে। চতুর্থ অনুষ্ঠান বসুধা বন্ধন। এতে প্রত্যেক জিপি ও ইউএলবিতে ৭৫টি বৃক্ষরোপণ করা হবে। পাশাপাশি ওই গাছগুলোতে ঘেরাও করে অমৃতবাটিকা তৈরী করা হবে। যা প্রদান করবে বনবিভাগ। এরজন্য ডিএফওকে প্রশাসনের তরফে অনুরোধ জানানো হয়েছে। কাছাড় জেলায় এই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ আগস্ট। ৯-১৫ তারিখ পর্যন্ত এই পঞ্চ শপথ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান পঞ্চম কর্মসূচী হিসেবে রয়েছে মাটি যাত্রা। ২৩ তারিখ প্রত্যেক গ্রাম থেকে এক কলস মাটি সহ প্রভাতফেরী করে জিপি কার্যালয়ে নিয়ে আসতে হবে। জিপি অফিস কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক গ্রাম থেকে সংগ্রহ করা মাটিগুলোকে একসঙ্গে মিশ্রণ করবে। ২৪ আগস্ট প্রত্যেক জিপি এক কেজি মাটি নিয়ে ব্লকের উদ্দেশে যাবে। সেখানে আবার মাটিগুলোকে মিশ্রণ করা হবে। তারপর ওইগুলোর মধ্যে ব্লকের নাম লিখা হবে। মোট ৩৬টি কলস হবে। ২৫ আগস্ট ওই কলসগুলো জেলা প্রশাসনের কাছে তুলে দেওয়া হবে। প্রশাসনের তরফে প্রত্যেক ব্লক থেকে একজন করে শিশু নিয়োগ করা হবে এবং ওই শিশু ওই কলস নিয়ে গুয়াহাটী যাবে। এরপর ২৬ তারিখে গুয়াহাটীতে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে তবে এর সময়সূচী এখনো তৈরী করা হয়নি। ২৭ তারিখ গুয়াহাটী থেকে বিমানে দিল্লীর উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে। ২৭ থেকে ৩০ আগস্ট দিল্লীতে থাকবে এবং প্রধানমন্ত্রীর এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবে। কর্তব্যপথে গোটা দেশের প্রত্যেক গ্রাম, জিপি, ব্লকের মাটিকে তুলে ধরা হবে।