অনলাইন ডেস্ক : জুড়ে শুধুমাত্র একটাই ধর্ম থাকুক। কারণ বাকি ধর্মের কোন ভিত্তি নেই, ফলে সেই ধর্মের নামে নিয়ম নীতি বানানো আইন গড়ে তোলা এগুলো আমরা মানি না। ভারতবর্ষের নামে যে রাষ্ট্র রয়েছে সেটা আমাদের কাছে মূল্যহীন। আমি এতদিন ভুল একটা নীতিতে চলছিলাম এবং সেটা শুধরে নিতেই এবার এই সংগঠনে যোগ দিচ্ছি।’পুলিশ জানিয়েছে, সেই ইমেলের সূত্র ধরে তাঁরাও ফারুকিকে খুঁজছিলেন৷ আইআইটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন৷ অনুমান করা হচ্ছে, ফারুকি সেখানে সহাইলুরের জন্যই অপেক্ষা করছিলেন৷ দুজনে মিলে চলে যেতেন আইসিসের গোপন শিবিরে৷ তবে কি তাদের মতো আরও আইসিস সমর্থক রয়েছে গুয়াহাটি বা অসমে৷ মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এমন আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দেন৷ বলেন, এ পর্যন্ত যেটুকু খবর, দুজন আইসিস সমর্থকই ছিলেন৷ একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ অন্যজনকেও শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। এসটিএফের তরফে কল্যাণ কুমার পাঠক বলেন, ‘প্রথমে সংবাদমাধ্যমে খবরটি দেখার পর আমরা জানতে চেয়েছিলাম আদৌ এই ছেলেটির অস্তিত্ব আছে কিনা। সম্পূর্ণ তথ্য পাই এবং তাকে আটক করা হয়। পড়ে মামলা গ্রহণ করে তাকে গ্রেফতার করেছি আমরা।’
আইআইটি পড়ুয়ার মতো মেধাবী ছাত্ররা আইসিসে প্রভাবিত হয়ে পড়ায় রাজ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ উদ্বিগ্ন অভিভাবক সহ সাধারণ জনতা৷ পুলিশ হেফাজতে ফারুকির চলনবলন উদ্বেগের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে৷ তাঁর দাবি, আইসিস প্রবর্তিত ব্যবস্থায়ই মৃত্যুর পরে জন্নতে (স্বর্গে) যাওয়ার সুযোগ মিলবে৷ প্রচলিত ব্যবস্থা জাহান্নম (নরক)-গামী৷ পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পেলে কী করবেন, নামাজ সেরে কোরাণ হাতে ফারুকির স্পষ্ট জবাব, আইসিস নেতাদের নির্দেশ মেনে এগিয়ে যাবেন৷ তার কথায় বারবার উঠে এসেছে কট্টর ইসলামিক জঙ্গি আদর্শের প্রভাব। পুলিশের আধিকারিকরা অনুমান করছেন, আইসিসের মত সংগঠন এভাবেই রাজ্যের যুব প্রজন্মকে প্রভাবিত করে তাদের দিকে টানতে চাইছে।
সম্প্রতি ধুবড়ি জেলায় আইসিসের দুই বড় মাপের নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশ জানিয়েছিল তারা অসমে তথা উত্তর-পূর্বের অন্যান্য রাজ্যে একটা শক্তপোক্ত গড় গড়ে তুলতে চাইছে। গৌহাটি আইআইটির দুই ছাত্রের ব্যবহারে বিষয়টা আরো স্পষ্ট হয়েছে।