অনলাইন ডেস্ক : প্রচন্ড বেগে তুফান সঙ্গে শিলাবৃষ্টি। রবিবার রাতে প্রকৃতির এই তাণ্ডবে কাছাড়ের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। প্রকৃতির এই তান্ডব শুরু হয় রাত ১১টা নাগাদ। যা অব্যাহত থাকে প্রায় ১টা পর্যন্ত। আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, তুফান বয়ে গেছে ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে। এই তীব্রগতির তুফানের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
ধলাই দর্মি বাজার এলাকার বাসিন্দা সাময়িক প্রসঙ্গের প্রতিনিধি সঞ্জন দত্ত জানিয়েছেন, তুমুল বৃষ্টির সঙ্গে নেমে আসা বড় বড় শিলায় অনেক বাড়িরই টিনের চাল ফুটো হয়ে গেছে। শিলার আকার ছিল বেশ বড় বড়, যা বহুদিন দেখা যায়নি।
সাময়িক প্রসঙ্গের লক্ষীপুরের প্রতিনিধি কবীর আহমেদ জানিয়েছেন, গোবিন্দপুরে তাঁর বাড়ির আশপাশের এলাকায়ও অনেক বাড়ির টিনের চাল ফুটো হয়ে গেছে। একইভাবে জেলার অন্যান্য প্রান্ত থেকেও বিভিন্ন সূত্রে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। যদিও রাত হয়ে যাওয়ায় কেউই ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত হিসেব কষে উঠতে পারেননি। তবে বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টির নমুনা দেখে যারা ব্যবসায়িক ভিত্তিতে সবজি ফলিয়ে থাকেন তাদের মাথা চাপড়াতে দেখা যায়। যদিও এই দুর্যোগপূর্ণ রাতে কেউই সবজি খেতে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখার মত সাহস জোগাতে পারেননি।
তুফান ও শিলাবৃষ্টির মাঝে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জেলার বেশিরভাগ এলাকা রয়েছে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে।
ডিস্ট্রিক্ট ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির প্রজেক্ট অফিসার শামীম আহমদ জানিয়েছেন, জেলার প্রতিটি এলাকা থেকেই তুমুল শিলাবৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।