নয়াদিল্লি, ১৯ আগস্ট : সরকার গঠনের জন্য পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না, দেশ গঠনের জন্য কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়। আমরা সবাই দেশ গড়ার পথ বেছে নিয়েছি, তাই আমরা প্রতিনিয়ত দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জগুলো সমাধান করে যাচ্ছি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়েরর মাধ্যমে গোয়ায় আয়োজিত ”হর ঘর জল উৎসব”-এ অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের বক্তৃতায় মোদি বলেছেন, ভারত ‘অমৃতকাল’ চলাকালীন বড় লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে এবং আজ আমরা এর সঙ্গে সম্পর্কিত তিনটি মাইলফলক অতিক্রম করেছি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পানাজিতে ‘হর ঘর জল উৎসব’ অনুষ্ঠানে ভাষণে আরও বলেন, আজ দেশের ১০ কোটি গ্রামীণ পরিবারকে পাইপযুক্ত বিশুদ্ধ জলের সুবিধা দিয়ে যুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার সরকারের এটি একটি বড় সাফল্য। তিনি বলেন, গোয়া দেশের প্রথম রাজ্য হয়ে উঠেছে, যা প্রতিটি বাড়িতে জল সরবরাহের জন্য একটি শংসাপত্র জারি করেছে। একই সময়ে দাদরা নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউও হর ঘর জল শংসাপত্র পাওয়া প্রথম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়ে উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের এক লাখেরও বেশি গ্রাম ওডিএফ প্লাস হয়ে গেছে। কয়েক বছর আগে সকল দেশবাসীর প্রচেষ্টায় দেশকে উন্মুক্ত মলত্যাগ মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এর পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে গ্রামগুলিকে ওডিএফ প্লাস করা হবে। দেশ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জল জীবন মিশনের’ সাফল্য চারটি শক্তিশালী স্তম্ভের উপর নির্ভর করে। প্রথমটি হল জনগণের অংশগ্রহণ, অংশীদারিত্ব, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সম্পদের উন্নত ও পূর্ণ ব্যবহার। তিনি বলেন, মাত্র ৩ বছরের মধ্যে ৭ কোটি গ্রামীণ পরিবারকে ‘জল জীবন মিশন’-এর আওতায় পাইপ দিয়ে জলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এটা কোনো সাধারণ অর্জন নয়। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে দেশ মাত্র ৩ কোটি গ্রামীণ পরিবারকে পাইপ দিয়ে পানীয় জল সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন সরকার গঠনের পর আমরা আলাদা জলশক্তি মন্ত্রণালয় তৈরি করেছি। এই অভিযানে ব্যয় হচ্ছে ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় মহামারী বাধা সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও, এই অভিযানের গতি কমেনি। ৭ দশকে যে কাজ হয়েছে, তার দ্বিগুণেরও বেশি কাজ গত ৩ বছরে দেশ করেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এবং গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। (সংবাদ সংস্থা)