অনলাইন ডেস্ক : মাদ্রাসায় পড়ছে অমুসলিম পড়ুয়া। বিষয়টি আজকের দিনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তব। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় অমুসলিম পড়ুয়াদের ভর্তি করা নিয়ে এবার সরাসরি বিবাদ লেগেছে। ময়দানে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন এবং উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা বোর্ড। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের দাবি, উত্তরপ্রদেশের অমুসলিম পড়ুয়াদের ভরতি করে তাদের ধর্মীয় শিক্ষা দিচ্ছে। এই ‘অপচেষ্টা’ বন্ধ করতে মাদ্রাসা বোর্ডকে নোটিসও দিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। কিন্তু তাতে কাজের কাজ হয়নি।
বিতর্কের সূত্রপাত গত বুধবার। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে রাজ্যের সব বিভাগের সচিবদের চিঠি দেওয়া হয়। দাবি করা হয়, সেরাজ্যের মাদ্রাসগুলিতে হিন্দু তথা অন্যান্য অমুসলিম পড়ুয়ারাও পড়ছে। শিশু সুরক্ষা কমিশন এই বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখছে না। কমিশনের বক্তব্য, মাদ্রাসার মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মূলত ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয়। সুতরাং অমুসলিমদের সেই শিক্ষা পাওয়া উচিত নয়। কমিশন উত্তরপ্রদেশের সচিবদের নির্দেশ দেয়, মাদ্রাসায় পাঠরত সব অমুসলিম পড়ুয়াকে শনাক্ত করা হোক। এবং তাঁদের সাধারণ স্কুলে ভরতি করে দেওয়া হোক।
কিন্তু শিশু সুরক্ষা কমিশনের সেই চিঠির প্রবল বিরোধিতা করেছে উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা বোর্ডও। মাদ্রাসা বোর্ডের প্রধান ইফতিকার আহমেদ বলছেন, মাদ্রাসায় অমুসলিমদের পড়াশোনা করাটা নতুন কিছু নয়। অনেক অহিন্দুও সংস্কৃত টোলে পড়াশোনা করে। সব ধর্মের মানুষ মিশনারি স্কুলগুলিতে পড়াশোনা করে। সুতরাং কোনও অমুসলিম পড়ুয়া মাদ্রাসায় পড়তেই পারে। এতে আপত্তির কোনও কারণ নেই। উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা বোর্ড সাফ বলে দিচ্ছে, তারা আগামী দিনেও অমুসলিম ছাত্রদের ভরতি করবে।
মাদ্রাসা বোর্ডের এই অবস্থানে ক্ষোভ আরও বেড়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের। কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বলছেন, এভাবে মাদ্রাসায় অহিন্দুদের ভরতি করাটা সংবিধানের ২৮(৩) নং অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। এ বিষয়ে মাদ্রাসা বোর্ডকে ৩ দিনের মধ্যে জবাবদিহি করতে নলা হয়েছে।