অনলাইন ডেস্ক : শিলচরে বাড়ি বাড়ি রান্নার গ্যাস সরবরাহের জন্য বর্তমানে পাইপলাইন বসার চেয়ে পূর্ব ভারতী গ্যাস এজেন্সি নামে এক সংস্থা। পাইপ বসাতে গিয়ে এই সংস্থার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির দরুন বর্তমানে দুর্ভোগের শেষ নেই শহরবাসীর। বুধবার শহরের অম্বিকাপট্টি এলাকায় রাস্তা খোঁড়ার সময় বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তীর তোপের মুখে পড়তে হয় সংস্থার কর্মকর্তাদের। অনুমতি না নিয়ে রাস্তা কাটার দরুন ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুশিয়ারি দেন বিধায়ক।
এদিন দুপুরে বিধায়ক শ্মশানঘাটে গিয়েছিলেন। ফিরে আসার পথে তার নজরে পড়ে অম্বিকাপট্টিতে ঈশিতা গ্যাস এজেন্সির কাছে রাস্তা খোঁড়া হচ্ছে। রাস্তা খোড়ায় রত শ্রমিকদের সুপারভাইজর পুনিত রাঘবকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান পূর্ব ভারতী গ্যাস এজেন্সির হয়ে গ্যাসপাইপ লাইন বসানোর কাজ করছেন। রাস্তা খোঁড়ার অনুমতি রয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে পুনিত কিছু দেখাতে পারেননি। পরবর্তীতে এজেন্সির সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার অভিজিৎ দাস এবং প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার রিতীশ বরদলৈ সেখানে পৌঁছে একটি অনুমতি পত্র দেখালেও বিধায়ক এতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তিনি জানান এতে লক্ষীপুর রোড, জানিগঞ্জ এসব এলাকায় রাস্তা খোঁড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অম্বিকাপট্টিতে যে এলাকায় খোড়া হচ্ছিল সেখানে খোঁড়ার কোনও অনুমতি নেই। এরপর তিনি চড়াসুরে সংস্থার দুই ইঞ্জিনিয়ার কে উদ্দেশ্য করে বলেন, কয়েকটি জায়গার জন্য অনুমতি নিয়ে পুরো শহর জুড়ে খোঁড়াখুঁড়ি মেনে নেওয়া হবে না। এর জন্য প্রথাগতভাবে অনুমতি নিতে হবে। এবং রাস্তা খোড়ার পর কাজ শেষে, তা মেরামত করে আগের মতই তৈরি করে দিতে হবে।
বিধায়ক এদিন রাস্তা খোড়াস্থলে পূর্ত বিভাগের শিলচর-উধারবন্দ টেরিটোরিয়াল রোড ডিভিশনের কার্যাবাহী বাস্তকার অনিরুদ্ধ নাগকেও ডেকে পাঠান । অনিরুদ্ধ নাগ পৌঁছানোর পর বিধায়ক তাকে প্রশ্ন করেন, অনুমতি বিহীনভাবে যেখানে সেখানে রাস্তা খোঁড়া হচ্ছে, তা কি চোখে পড়ে না পূর্ত বিভাগের। , বিধায়কের প্রশ্নের জবাবে বাস্তুকার নাগ বলেন,রাস্তার প্রতিটি খোড়া জায়গা নিয়ে তারা পূর্ব ভারতী গ্যাস এজেন্সি এবং ডিসি ও ডিভিসিকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু কোনও লাভ হচ্ছে না। গত কিছুদিন আগে অন্য একটি স্থানে রাস্তা খোঁড়ার সময় সেখানে গিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছিল। কিন্তু কাজে নিযুক্ত লোকেরা ডিসি এবং পূর্ত বিভাগের উর্ধতন আধিকারিককে অভিযোগ জানিয়েছেন, পূর্ত বিভাগের লোকেরা নাকি ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর আক্রমণ চালাতে গিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে বিধায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গ্যাস পাইপলাইন বা পানীয় জল সরবরাহের জন্য পাইপ লাইন বসানোও জরুরী। তবে এসব কাজ করতে গিয়ে রাস্তা খুঁড়ে পরবর্তীতে এমনিতে যেমন তেমনভাবে ভরাট করে ফেলে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া হবে না। পূর্ব ভারতী গ্যাস এজেন্সি বা অমরুথ কর্তৃপক্ষ যারাই রাস্তা খুঁড়ে থাকুন না কেন এর জন্য আগেভাগে তাদের অনুমতি নিতে হবে। আর কাজের পর রাস্তা ফের আগের মতই সংস্কার করে দিতে হবে। প্রয়োজন হলে এক্ষেত্রে পূর্ত বিভাগেরও সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। তিনি আরও জানান এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও সংস্থা গুলোর মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলার জন্য শীঘ্রই সবাইকে নিয়ে তিনি এক বৈঠকে বসবেন।