অনলাইন ডেস্ক : করিমগঞ্জ জেল থেকে ১৩০ জন বন্দিকে স্থানান্তরিত করা হলো শিলচর সেন্ট্রাল জেলে। রবিবার বিএসএফের গাড়িতে করে এই বন্দীদের করিমগঞ্জ থেকে স্থানান্তরিত করা হয়।
জানা গেছে বন্দীদের সবাই পুরুষ। সব কজনই মাদক পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেল বন্দি। ১৩০ জনের মধ্যে একজন বাদে বাকি সবাই বিচারাধীন বন্দি। বাকি একজনের একটি মামলায় সাজা হলেও অন্য মামলায় তার বিচার চলছে আদালতে।
প্রসঙ্গত মাদক পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া এই বন্দীরা সাম্প্রতিককালে করিমগঞ্জ জেলে অনশনে বসেছিলেন। তখন তাদের পরিবারের লোকেরা অভিযোগ করেন বন্দীদের অনেকের বিরুদ্ধেই উপযুক্ত প্রমাণ নেই। সন্দেহবশত তাদের গ্রেফতারের পর জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বারবার জমিনের জন্য আদালতে আবেদন করা হলেও জামিন মঞ্জুর হচ্ছে না। বিচার প্রক্রিয়াও চলছে মন্তর গতিতে। অনশনের মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৩৩ জন বন্দি। এদিকে অনশনের পরপরই হঠাৎ করে এদিন স্থানান্তর করা হলো ১৩০ জনকে।
যদিও কারা বিভাগের কর্তৃপক্ষের দাবি এই বিরাট সংখ্যক বন্দি স্থানান্তরের সঙ্গে অনশনের কোনও সংযোগ নেই। করিমগঞ্জ জেলে বন্দিদের সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ায় স্থানান্তর করা হয়েছে এদের।
কারা বিভাগের এক আধিকারিক জানান করিমগঞ্জ জেলা কারাগারে ১৮৭ জন বন্দির থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সেই তুলনায় সংখ্যাটা পৌঁছে গিয়েছিল ৪৪৯- এ। তাই জেলে চাপ কমাতে ১৩০ জনকে স্থানান্তর করা হয়েছে শিলচর সেন্ট্রাল জেলে।
এদিন করিমগঞ্জের ডিএসপি (সদর) গীতার্থ দেব শর্মার তত্ত্বাবধানে এই বন্দীদের স্থানান্তর করা হয়। কারা বিভাগের সূত্রটি করিমগঞ্জ জেলে বন্দির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার দরুন ১৩০ জনকে শিলচর সেন্ট্রাল স্থানান্তরের কথা বললেও ডিএসপি শর্মা বলেন, স্থানান্তরের পেছনে ধারন ক্ষমতার চেয়ে বেশি সংখ্যক বন্দি থাকার ব্যাপারটা ছাড়াও এই বন্দিরা যেভাবে অশান্তি সৃষ্টি করতেন তাও এক কারণ। প্রসঙ্গত এই ১৩০ জন সহ করিমগঞ্জ জেলে মাদক পাচার মামলায় বন্দির সংখ্যা ছিল প্রায় ২৩০।
এদিকে এদিন ১৩০ জনকে স্থানান্তরের দরুন শিলচর সেন্ট্রাল জেলেও ধারন ক্ষমতার চেয়েও বন্দির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অনেক বেশি। শিলচর সেন্ট্রাল জেলে বন্দির ধারন ক্ষমতা ৪৭৯। করিমগঞ্জ থেকে ১৩০ জনকে স্থানান্তরের পর এদিন সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩১-এ। সেন্ট্রাল জেলের এক সূত্র জানান, এই জেলে সবচেয়ে বেশি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে মহিলা বন্দি ও তাদের সন্তানদের ঘিরে। জেলে ২৭ জন মহিলা বন্দী থাকার ব্যবস্থা রয়েছ। সেই স্থলে বর্তমানে রয়েছেন ৬৩ জন মহিলা বন্দী। তাদের সঙ্গে আবার রয়েছে, ৩৬ টি শিশু। তাই সৃষ্টি হয়েছে সমস্যার।