অনলাইন ডেস্ক : রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে থাকা প্রতিটি হাইস্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নে মোটা অঙ্কের অনুদান দিতে চলেছে। রবিবার কামরূপ জেলার কমলপুরে একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, আগামী কয়েক বছরে অসমের গ্রামে অবস্থিত হাইস্কুলগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে পাঁচ কোটি টাকা খরচ করবে রাজ্য সরকার। পর্যায়ক্রমে এই অনুদান সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিকে দেওয়া হবে। হিমন্তের দাবি, এর ফলে শিক্ষাক্ষেত্র-সহ গ্রামীন এলাকার সর্বাঙ্গীন পরিস্থিতিতে উন্নতি ঘটবে।
এর পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়েও পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকে বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস আমলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি মুরগির খাঁচার মত ছিল। আমরা সেসবের ভোল পাল্টানোর কাজ শুরু করেছি। মানুষের পড়াশোনার যোগ্য করা হয়েছে।’ হিমন্ত জানান যে, রাজ্যের প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে ২৫ লক্ষ অনুদান দেবে সরকার। এছাড়া মহিলাদের স্বাবলম্বী করার জন্য রাজ্য সরকার যে বৃহৎ প্রকল্প নিয়েছে সে বিষয়েও এদিন ফের বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মন্তব্য, ‘রাজ্যের চল্লিশ লক্ষ মহিলাকে দশ হাজার করে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি দু’লক্ষ তরুণদেরও এক লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। তাঁরা সকলেই এর মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্যে অগ্রসর হতে পারবেন।’ এদিকে নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের সাইকেল দেওয়ার প্রসঙ্গও এদিন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি যেখানেই যাই, পড়ুয়ারা স্কুলে যাওয়া-আসার অসুবিধার কথা বলে। তাই স্কুলপড়ুয়াদের সাইকেল প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে তাদের স্কুলে পড়তে যেতে অসুবিধা মিটবে।’ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এদিন এ-ও জানিয়েছেন যে, অতি সত্বর ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়ে দ্বাদশ উত্তীর্ণ ছাত্রীদের স্কুটি প্রদান করা হবে। পাশাপাশি, দ্বাদশে ৭৫ শতাংশের অধিক নম্বর পাওয়া ছাত্রদেরও স্কুটি দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। হিমন্তের দাবি, এসবই অসমে আন্দোলনের পরিবেশ বন্ধ হওয়ায় সম্ভব হয়েছে। তাঁর মন্তব্য, ‘গত দু’বছর আন্দোলন দেখেনি রাজ্য। এর ফলেই উন্নয়নে মন দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’ এদিন অসমের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রবল সাহায্য পাওয়ার ফলেই রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।’