অনলাইন ডেস্ক : পঞ্চদশ অসম বিধানসভায় রাজ্যপালের উদ্বোধনী ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেট অধিবেশন। বিরোধীদের প্রচণ্ড হইহল্লা শোরগোলের মধ্যে মাত্র ১৪ মিনিটের মধ্যে ভাষণ শেষ করেন রাজ্যপাল গুলাবচাঁদ কাটারিয়া। ১৪ মিনিটের ভাষণে রাজ্যপাল গুলাবচাঁদ কাটারিয়া সরকারের কাজকর্মের খতিয়ান তুলে ধরেন। বিগত ২০২৩-২০২৪ অর্থবৰ্ষে রাজ্য সরকার যে সব উন্নয়নমূলক কাজ করেছে সে সবের তথ্য তুলে ধরেছেন রাজ্যপাল। সরকারের অ্যাক্ট-ইস্ট পলিসির প্ৰশংসা করে রাজ্যপাল বলেন, অ্যাক্ট-ইস্ট পলিসির বলে সরকার দক্ষিণের দেশ যেমন বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালের সঙ্গে সুসম্পৰ্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্ৰে গুরুত্বপূৰ্ণ ভূমিকা গ্ৰহণ করেছে।
বাজেট ভাষণে রাজ্যপাল বলেন, মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অসম সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবৰ্ষে গুচ্ছ ফলপ্ৰসূ কার্যসূচি রূপায়ণের জন্য পদক্ষেপ গ্ৰহণ করেছে। এর উদ্দেশ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্ৰে বিদ্যমান সুযোগ, অসম এবং আশিয়ান দেশসমূহের উদ্যোগপতিদের সঙ্গে নেটওয়াৰ্ক স্থাপন ইত্যাদি বিষয়ে অবলোকন করা। এতে আশিয়ান তথা অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্বন্ধকে আরও বেশি মজবুত করবে।
সাংস্কৃতিক বিগত বর্ষে রাজ্য সরকার বেশ কয়েকটি সফল কার্যসূচি হাতে নিয়েছে, সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, গত বছর ২০২৩ সালের ১৪ এপ্ৰিল ১১,৩৬৯ জন শিল্পীর সম্মিলিত অংশগ্ৰহণে একই জায়গায় আয়োজিত সৰ্ববৃহৎ বিহুনৃত্য গিনিজ বুকে তালিকাভুক্ত করে বিশ্বের মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সরকার। এছাড়া অসম সাংস্কৃতিক মহাসংগ্ৰাম, ২০২৩-২৪ হচ্ছে রাজ্য স্তরীয় কার্যসূচি, যা অসমের বিভিন্ন প্রান্ত ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছয়টি শাখার সাংস্কৃতিক প্রতিভা সম্পন্ন বিভিন্ন বয়সি মানুষকে আবিষ্কার করেছে সরকার। এর মাধ্যমে গ্রাম পঞ্চায়েত, ভিসিডিসি, এমএসি, ওয়াৰ্ড, বিধানসভা এলাকা এবং জেলা থেকে রাজ্যস্তরে সাংস্কৃতিক প্ৰতিযোগিতার একটি মঞ্চ প্ৰদান করা হয়েছে।
এছাড়া চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণা, চিকিৎসা পরিকাঠামো সম্প্ৰসারণ হোক কিংবা সুপার স্পেশালিটি ব্লক ও হাসপাতালকে ক্রিয়াশীল করা, স্বাস্থ্য গবেষণার ক্ষেত্ৰ ইত্যাদিতে সরকারের সাফল্য প্রসঙ্গে বক্তব্য পেশ করেছেন রাজ্যপাল। তদুপরি রাজ্যপালের ভাষণে বিগত অর্থবৰ্ষে রাজ্য সরকার কৰ্তৃক গৃহীত বিভিন্ন বিভাগের বেশ কয়েকটি প্ৰকল্পের সফল রূপায়ণ সম্পর্কিত তথ্যও উঠে এসেছে। এরই মধ্যে বিরোধীরা রাজ্যপালের ভাষণের বিরোধিতা করে এবং বিভিন্ন দাবির ভিত্তিতে হাতে হাতে প্ল্যা-কাৰ্ড নিয়ে হুলস্থূল পরিবেশের সৃষ্টি করেন। ফলে মাত্র কয়েক মিনিটের তাঁর বাজেট ভাষণ শেষ করেন রাজ্যপাল গুলাবচাঁদ কাটারিয়া।