অনলাইন ডেস্ক : পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু ঘটা জেল পালানো কুখ্যাত অপরাধী হিফজুর রহমান ওরফে হিজুরের জানাজা অনুষ্ঠিত হলো বুধবার। যদিও এতে তার স্বল্প সংখ্যক আত্মীয়-স্বজন ছাড়া আর কেউই যোগ দেননি।
মঙ্গলবার শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর হিফজুরের মৃতদেহ বেশ রাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হয় দক্ষিণ বদরপুর এলাকার মনসাঙ্গনে তার বাড়ির এলাকায়। এরপর বুধবার সকাল দশটা নাগাদ ওই এলাকায় সম্পন্ন হয় তার জানাজার নামাজ। গ্রামবাসীর সূত্রে জানা গেছে, জানাজায় হিফজুরের সীমিত সংখ্যক আত্মীয়-স্বজন ছাড়া আর কেউই এতে যোগ দেননি।
এদিকে হিফজুরের এই পরিণতিতে গোটা বদরপুর ও ভাঙ্গা এলাকায় কতখানি স্বস্তির হাওয়া নেমে এসেছে তা ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারছেন কাছাড় পুলিশের কর্মকর্তারা। জেলা পুলিশের এক উচ্চস্তরীয় আধিকারিক জানান, এদিন বদরপুর ও ভাঙ্গা এলাকা থেকে কতজন যে
তাকে ফোন করে ধন্যবাদ দিয়েছেন তার ঠিকানা নেই। ওই আধিকারিকের কথায়, এ থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে হিফজুরের ভয়ে এলাকাবাসী কতখানি সন্ত্রস্ত ছিলেন। ধন্যবাদ জানিয়ে সবাই বলছেন, এবার শান্তিতে ঘুমোতে পারবেন তারা।
হিফজুর পর্বের সমাপ্তি ঘটলেও পুলিশ বর্তমানে খোঁজে রয়েছে তার সঙ্গেই শিলচর সেন্ট্রাল জেল থেকে পালানো খুনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত অন্য বন্দী দীপ নুনিয়া ওরফে ছোটালেইকার। জানা গেছে হিফজুরকে ঘিরে ভাঙ্গা- বদরপুর এলাকার মানুষ যেমন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন তেমনি দীপকে ঘিরেও আতঙ্কে রয়েছেন তার বাড়ির এলাকার লোকেরা। বিশেষ আতঙ্কে রয়েছেন তার মা এবং পরিবারের অন্যান্যরা। শিলচর ঘুঙ্গুর ভেটেরিনারি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা দীপও একজন কুখ্যাত অপরাধী। সঙ্গীকে খুন সহ তার অপরাধের তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। দীপ এতটাই ভয়ংকর অপরাধী যে, সঙ্গীকে খুনের পর তার মৃতদেহ বাড়ির শৌচালয়ের নিচে পুতে রেখে নির্বিকার হয়ে দিন কাটাচ্ছিল সে। হিফজুরের মত তাকেও যাতে পুলিশ শীঘ্র খুঁজে বের করে এর জন্য আর্জি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী।
এদিকে পুলিশের এক সূত্র জানিয়েছেন, বর্তমানে তারা হন্যে হয়ে খুঁজছেন দীপকে। এর জন্য সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে জাল পাতানো হয়েছে। সূত্রটি আশা ব্যক্ত করেন, যেখানেই থাকুক দীপকে শীঘ্র খুঁজে বের করা সম্ভব হবে।