অনলাইন ডেস্ক : বহুচর্চিত সিনেমা ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র প্রশংসায় পঞ্চমুখ শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী। শুধু এ-ই নয়, প্রত্যেক হিন্দু মেয়েকে অন্তত একবার এই ছবি দেখার আহ্বান জানান তিনি। মেয়েদের সতর্ক করে তিনি এ-ও বলেন, দেশের ভেতরেই সক্রিয় দেশদ্রোহী। এই ছবি সেসব দেশদ্রোহিদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে। তাই দেখাটা জরুরি।
শিলচরের বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে রবিবার এই ছবি দেখেন দীপায়ন। এরপর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেক ‘হিন্দু মেয়ের’ এই ছবি দেখা উচিত। কারণ, লভ জেহাদ-কে কেন্দ্র করে নির্মিত এই ছবিতে দেখানো হয়েছে, কীভাবে হিন্দু মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রথমে ধর্মান্তরিত এবং পরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যুক্ত করা হয়। এই ছবি দেখলে মেয়েরা সচেতন হবে। আর তাই মেয়েরা যাতে এই ছবি দেখতে পারে, সেজন্য এগিয়ে আসা উচিত অন্য দলের হিন্দু জনপ্রতিনিধিদেরও।
ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের আবেদনে এদিন শিলচর ডিজিটাল সিনেমা হলে কলেজ পড়ুয়াদের ছবিটি দেখানোর বন্দোবস্ত করেন দীপায়ন। পরে তিনি বলেন, পাশ্চাত্য সভ্যতার ভাল দিকগুলো গ্রহণ এবং এর খারাপ দিক বর্জন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু স্বাধীনতার পর এক দীর্ঘ সময় ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ নেয়নি তৎকালীন সরকার। তবে আশার কথা, প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে দেশব্যাপী ভারতীয় সংস্কৃতি রক্ষার উদ্যোগ চলছে।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি উল্লেখ করেন, দিনকয়েক আগে রাজ্যের প্রত্যেক স্বদলীয় বিধায়ককে নিয়ে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এবার তিনি নিজেই উদ্যোগ নিয়ে শিলচরে কলেজ পড়ুয়াদের এই ছবি দেখানোর ব্যবস্থা করেছেন। এদিন গুরুচরণ কলেজ, কাছাড় কলেজ এবং রাধামাধব কলেজের পড়ুয়ারা দেখেছেন দ্য কেরালা স্টোরি। পড়ুয়াদের অধিকাংশ-ই ছিল মেয়ে। আগামীতে অন্যান্য কলেজের পড়ুয়াদের জন্যও এ ব্যবস্থা করা হবে, বলেন দীপায়ন। এদিন বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন জেলা যুব মোর্চার সভাপতি অমিতেশ চক্রবর্তী, এবিভিপির পক্ষে রোহিত চন্দ সহ অন্যান্য দলীয় কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর পর হালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ঝড় তুলেছে দেশে। শোরগোল রাজনৈতিক মহলেও। ইতিমধ্যে পশ্চিম বাংলায় এই ছবির প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।