অনলাইন ডেস্ক : পিছিয়ে গেলো হাইলাকান্দি জেলা ক্রীড়া সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভার তারিখ। সভাপতির অনুপস্থিতির জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে এজিএমের তারিখ। ১৭ নভেম্বরের পরিবর্তে এবারে ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে আগামী সাধারণ সভা। শুক্রবার সংস্থার এক জরুরী বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়৷ পরে এদিন বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করে এই কথা গুলো জানান সংস্থার সদস্যরা। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যরা জানান, গত ১৬ অক্টোবর গভর্নিং বডির এক সভায় ১৭ নভেম্বর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সংস্থার বর্তমান সভাপতি ও প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায় ব্যক্তিগত কারণে নির্ধারিত দিনে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। কিন্তু তিনি সাধারণ সভায় উপস্থিত থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তার অনুরোধকে সম্মান জানিয়ে আজ গভর্নিং বডির জরুরি সভায় সাধারণ সভার নতুন তারিখ ২২ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে তাদের মোট ৪৭ জন সদস্য রয়েছেন এবং এই সদস্যরাই সাধারণ সভায় উপস্থিত থাকার যোগ্য। তারা জানান ওয়াইএমএসি, ব্লাড মাউথ ক্লাব, ব্লাড মাউথ অ্যাথলেটিক ক্লাব, স্টার ক্লাব স্পোর্টিং ইউনিয়ন ও কলেজ রোড অ্যাথলেটিক ক্লাব এই ছয়টি এফিলিয়েটেড ক্লাব থেকে দু’জন করে প্রতিনিধি সহ বর্তমান কমিটির সভাপতি, উপ-সভাপতিরা, সচিব ও শাখা সচিবরা এবং সংস্থার আজীবন সদস্যদের মিলিয়ে মোট ৪৭ জন সদস্য সাধারণ সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন। এফিলিয়েশনের শর্তাবলী নিয়ে করা প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার এফিলিয়েটেড ক্লাব হওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। কোনো ক্লাব সংস্থার তিনটি ইভেন্টে পাঁচ বছর ধরে নিয়মিত অংশগ্রহণ করলে তবেই তারা এফিলিয়েশন পাওয়ার যোগ্য হয়। ক্লাবের সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন, সংবিধান এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র থাকা বাধ্যতামূলক।সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ১৫ বছর ধরে একই ছয়টি ক্লাব এফিলিয়েটেড রয়েছে। নতুন ক্লাব কেন এফিলিয়েশন পাচ্ছে না? এর উত্তরে সংস্থার সদস্যরা জানান, বেশিরভাগ ক্লাবই প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ। উদাহরণস্বরূপ, এ বছর দুটি ক্লাব এফিলিয়েশনের জন্য আবেদন করেছিল। তারা পাঁচ বছর ধরে ইভেন্টে অংশ নিলেও তাদের কোনো সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন ও নির্দিষ্ট সংবিধান ছিল না। এই কারণে তাদের আবেদন গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। তারা জানান বর্তমানে জেলা ক্রীড়া সংস্থায় আটজন লাইফ মেম্বার রয়েছেন। এছাড়া, রাজ্য পর্যায়ে খেলায় অংশগ্রহণকারী হাইলাকান্দির খেলোয়াড়রা, যাদের বয়স ৬০ বছর পেরিয়েছে, তাদের এসোসিয়েট মেম্বার করা হয়। সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, ক্রীড়া উন্নয়নে তারা যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। ভবিষ্যতে আরও ক্লাবকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে, তবে তার জন্য সংস্থার নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে হবে। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব শৈবাল সেনগুপ্ত, তিন সহ-সচিব আনিসুর রহমান বড়লস্কর, মনজিৎ দাস ও সামসুদ্দিন বড়লস্কর, স্টেডিয়াম কমিটির চেয়ারম্যান পিনাকী ভট্টাচার্য, ফুটবল সচিব মফজ্জুল হুসেন লস্কর, ক্রিকেট সচিব বিভাভূষন চক্রবর্তী, আম্পায়ার বোর্ডের সচিব পার্থ চক্রবর্তী, ভলিবল সচিব ইক্রামুল হক বড়ভূইয়া, ইন্ডোর সচিব নিরেন তারাত প্রমুখ।