অনলাইন ডেস্ক : সাতসকালে হাইলাকান্দিতে উদ্ধার যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ। হাইলাকান্দি শহরতলীর গাংপার-ধুমকর এলাকায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরত্বে উদ্ধার হয়েছে মৃতদেহটি। উদ্ধার হওয়া মৃতদেহটি আলি হুসেইন লস্কর নামের স্থানীয় এক যুবকের বলে শনাক্ত হয়েছে। এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ধিরেন রী নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। তবে তার নেশাগ্রস্ত অবস্থার কারণে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। হত্যার পেছনে মাদক চক্রের যোগসূত্র থাকার আশঙ্কা রয়েছে।বৃহস্পতিবার সকালে হাইলাকান্দি শহরের প্রবেশ পথের গাংপার ধুমকর এলাকায় এক রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখে স্থানীয় মানুষ খবর দেন পুলিশে। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে, দোকানঘরের পেছনে নালার পাশে পড়ে ছিলো মৃতদেহটি। মৃতদেহটি রক্তে ভেজা ছিল, যা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এটি কোনো সাধারণ মৃত্যু নয়। স্থানীয়রা মৃতদেহটি আলি হুসেইন লস্কর নামে এক পরিচিত যুবকের বলে শনাক্ত করেছে। কিন্তু কে বা কারা তাকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। মৃতদেহের অবস্থার দেখে অনুমান করা হচ্ছে, তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করার সময়ই স্থানীয় মানুষ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এক অচেনা যুবককে ঘুরাফেরা করতে দেখেন। ঐ যুবকের শরিরে রক্তের দাগ লেগে থাকায় স্থানীয়দের সন্দেহ আরও প্রবল হয়ে উঠে। তারা সেই যুবককে আটক করে পুলিশে সমঝে দেন। পুলিশের প্রারম্ভিক তদন্তে সে নিজের নাম ধিরেন রী বলে জানিয়েছে। কিন্তু ধৃত যুবকটি এতটাই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল যে, পুলিশ এখনো তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ড্রাগের বড় কোনো চক্র কাজ করছে। হয়তো মাদক সেবন বা মাদক ব্যবসার লেনদেনের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। কিন্তু প্রকৃত সত্য এখনো অন্ধকারে। অঞ্চলের মানুষ আতঙ্কিত এবং ক্ষুব্ধ। তাঁরা আশঙ্কা করছেন যে, এ ধরনের ঘটনা এলাকায় ড্রাগ মাফিয়ার সক্রিয়তা বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা পুলিশের কাছে দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।