অনলাইন ডেস্ক : অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন, কাছাড় জেলা কোর্ডিনেশন কমিটি প্রিপেইড স্মার্ট মিটার ব্যবস্থা প্রত্যাহার ও ঘন ঘন লোডশেডিং বন্ধের দাবিতে শনিবার শিলচরের গোলদীঘি মলের সামনে বিকেল সোয়া চারটায় মানব বন্ধনে প্রায় দু’শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মানব বন্ধন কার্যসূচিতে যোগ দেন সংগঠনের কো চেয়ারম্যান সাধন পুরকায়স্হ, কিশোর কুমার ভট্টাচার্য, এম শান্তিকুমার সিংহ, সিহাব উদ্দিন আহমেদ, সুব্রতচন্দ্র নাথ, নির্মলকুমার দাস, তমাল বনিক, আশু পাল, আদিমা মজুমদার, বিজয়া কর, জয়দীপ ভট্টাচার্য, প্রদীপ দত্তরায়, অতনু ভট্টাচার্য, ভবতোষ চক্রবর্তী, মম্মথ নাথ, চাম্পালাল দাস, সীমান্ত ভট্টাচার্য, মধুসূদন কর, অরিন্দম দেব, মানস দাস, মৃনালকান্তি সোম, মিহির নন্দী, হৃষিকেশ দে, বিশ্বজিত দাস, আইনজীবী আব্দুল হাই লস্কর, আলী রাজা ওসমানী, বনানী রায়চৌধুরী, দীপঙ্কর চন্দ, হিল্লোল ভট্টাচার্য, কমল চক্রবর্তী, রাজেশ কুমার সিনহা, অরূপ বৈশ্য, স্নিগ্ধা নাথ, রাহুল রায়, রঞ্জিত চৌধুরী, হায়দার হোসেন চৌধুরী, আতরজান বেগম মজুমদার, মধুমিতা দেব, কমল চক্রবর্তী, প্রশান্ত ভট্টাচার্য সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি।
মানব বন্ধন কার্যসূচি সম্পর্কে বলতে গিয়ে সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা মন্মত নাথ বলেন, এপিডিসিএল কর্তৃপক্ষ রাজ্যের বিদ্যুৎ গ্ৰাহকদের সঙ্গে আলোচনা না করে বেআইনিভাবে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার ব্যবস্থা চালু করেছে। প্ৰিপেইড স্মাৰ্ট মিটার চালুর পর থেকে গ্ৰাহকদের হয়রানি চরমে উঠেছে। গ্রাহকদের রিচাৰ্জের টাকা অতিরিক্ত আদায় হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। সরকার বিদ্যুৎ খন্ডকে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিতে পরিষেবা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চাইছে। সাধন পুরকায়স্হ বলেন, প্ৰিপেইড ব্যবস্থা চালুর পর এবার সরকার দিন, রাতে আলাদা মাশুল ধার্য করতে চাইছে। এসব করে জনগণের কাছ থেকে অধিক মাশুল সংগ্রহের চক্রান্ত করছে। কিশোরকুমার ভট্টাচার্য বলেন, কিছুদিন পর পর নতুন নতুন নিয়ম চালু করে এপিডিসিএল কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের যন্ত্রণা বাড়িয়ে দিয়েছে। নির্মলকুমার দাস বলেন, পরিষেবা পাওয়ার পর ব্যবহারের মূল্য পরিশোধের আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সরকার প্রিপেইড চালু করিয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে গ্রাহকরা পরিষেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে। সংগঠনের পক্ষ থেকে হিল্লোল ভট্টাচার্য বলেন, এই আন্দোলন ধারাবাহিক ভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে যতদিন পর্যন্ত প্রিপেইড স্মার্ট মিটার ব্যবস্থা বন্ধ করা হবে না।