অনলাইন ডেস্ক : কারোর হাতে খেলাধূলার সামগ্রী। তো কেউ আপনমনে পোজ দিচ্ছে সেলফি জোনে। আবার কেউ দৌড়েই চলেছে আপন মনে। ভাবুন তো অভাবনীয় সেই দৃশ্যগুলো। এভাবেই প্রায় ১৫০০ কচিকাচাকে নিয়ে সুদৃশ্য ‘ চলো মাঠে যাই ‘ সাফল্যের মুখ দেখলো।
শিলচর রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ গণধিশানন্দিজি বিকেলের দিকে এসে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। মাঠ বিমুখ ছেলে মেয়েদের সবুজ ঘাসে টেনে আনতে ডিএসএ-র এই প্রয়াস এককথায় সফল। যোগ্য, ক্যারাটে ছাড়াও বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর লোকনৃত্য চার ঘণ্টা উৎসবমুখর করে রাখে গোটা এসএম দেব স্টেডিয়াম। রামকৃষ্ণ মিশনের গণধিশানন্দজি, বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান অন্যমাত্রা পায়। অতিথি বরণের পরই মাইকে পৌলমী শীল ও প্রতিতি শীলের বেদমন্ত্র পাঠের সাঙ্গে বিবেকানন্দের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন স্বামী গণধিশানন্দজি মহারাজ।
এরপরই জাতীয় যোগাসনে সদ্য প্রদর্শন করে আসা স্বর্ণালী চৌধুরী ও অরিহান চক্রবর্তীর দুর্দান্ত যোগা প্রদর্শন মাতিয়ে রাখে আসর। এরপর যোগা নিকেতন এবং জাতীয় ব্যায়াম বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষার্থীরা নজরকাড়া প্রদর্শন করে। এরপর বিভিন্ন রাস্তা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বামী গণবিশানন্দজি মহারাজ, শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী সহ শিলচর ডিএসএ-র সভাপতি বাবুল হোড়, সচিব বিজেন্দ্রপ্রসাদ সিং, স্কিপার লিমিটেডের ডিরেক্টর সিদ্ধার্থ বনসল, ওএনজিসি-র অ্যাসেট ম্যানেজার বিপুল গোঁহাই, ঋতু বরদিয়া, ভাওনা বরদিয়া, অনুষ্ঠানের অন্যতম স্পনন্সর প্রণয় বণিক, চন্দন শর্মা, জয় বরদিয়া, ডাঃ প্রিয়াঙ্কা দেব প্রমুখ। শিলচর ডিএসএ-র অনুমোদিত বিভিন্ন ক্লাব ও সংস্থা নিজেদের কার্যকলাপ তুলে ধরতে ইনফরমেশন সেন্টার (স্টল) খুলে বসে।
টাউন ক্লাবের স্টলে ছিল অ্যাথলেটিক্সের বিভিন্ন ক্রীড়া সরঞ্জাম এবং বার্ষিক স্মরণিকা। টাউন ক্লাব সচিব নন্দদুলাল রায় জানান, দেখতে আসা ছেলে-মেয়েদের এগুলি দেখিয়ে খেলাধূলায় উৎসাহ দেওয়া হয়েছে । শিলচর স্পোর্টিং ও অরুণাচল এসএসের স্টলে ছিল ট্রফির বাহার। ডিএসএ-র হকি শাখার স্টলে বসেছিলেন হকি খেলোয়াড়রা সঙ্গে কোচ নির্মাল্য নাথ। বরাক উপত্যকা ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থারও স্টল ছিল। তাতে ক্রীড়া সাংবাদিকদের লেখা বই, ম্যাগাজিন ছিল। প্লেয়িং জোনে দেখা গেছে একসঙ্গে কয়েক শো কচিকাঁচা বিভিন্ন ইভেন্ট নিয়ে ব্যস্ত। তারা আপন মনে খেলছে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস ।