অনলাইন ডেস্ক : গত ৪ ডিসেম্বর শিলচর পুরনিগমের আসন সংরক্ষণ নিয়ে আলোচনা করতে আহ্বান করা হয়েছিল সর্বদলীয় বৈঠক। যদিও প্রশাসনের আহত ওই বৈঠকে আসন সংরক্ষণ নিয়ে লটারি হয়নি। এবার আগামীকাল সোমবার ফের প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহ্বান করা হয়েছে সর্বদলীয় বৈঠক।
জানা গেছে, আগামীকাল বেলা ১১ টায় জেলা কমিশনারের কার্যালয়ে বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিরোধীরা আশা করছেন, আগামীকালের বৈঠকেই লটারির মাধ্যমে আসন সংরক্ষণ চূড়ান্ত হয়ে যাবে। এর মধ্যে রবিবার সন্ধ্যায় নিগমের আসন সংরক্ষণ সহ আনুষাঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বিজেপি জেলা কার্যালয়ে দলীয় স্তরে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় সূত্রে জানা গেছে দুই বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী ও মিহির কান্তি সোম, দলের জেলা সভাপতি বিমলেন্দু রায়, রাজ্য কমিটির কর্মকর্তা কনাদ পুরকায়স্থ, জেলা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মঞ্জুল দেব, দলের ৪ মন্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, হীরক চৌধুরী, দুলাল দাস ও শ্যামল দেব সহ দলের প্রাক্তন পুরসদস্য এবং নিগমের অন্তর্ভুক্ত হওয়া বিভিন্ন জিপির প্রাক্তন সভাপতি ও এপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন ওই সভায়।
খবর অনুযায়ী সভায় ২০১১র জনগণনার রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডের জনসংখ্যার যে হিসেব তুলে ধরা হয়েছে এনিয়ে সভায় প্রশ্ন উত্থাপন করেন কেউ কেউ। খবরের সূত্রটি জানান বিশেষত চেংকুড়ি রোড, কাঁঠাল রোড ও ভজন্তিপুর এলাকার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত ৩২ নম্বর ওয়ার্ড এবং রংপুর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ড-এ অনুসূচিত জাতির যে লোকসংখ্যা দেখানো হয়েছে এনিয়ে আপত্তি উঠে সভায়। ৩২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার দলীয় কর্মীরা এর আগেই প্রকাশ্যে এসে এ নিয়ে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছেন। তাদের দাবি ওই ওয়ার্ডে এত অনুসূচিত লোক নেই।এবার উঠে এলো ৪ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে অভিযোগও। অন্যান্য কিছু ওয়ার্ড নিয়েও আপত্তি বা অভিযোগ করেন কেউ কেউ।
যদিও দলীয় নেতৃবৃন্দের কাছে এসব অভিযোগ খুব একটা গুরুত্ব পায়নি। তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেছে, তাই এই মুহূর্তে বিশেষ কিছু করা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত গত ৪ ডিসেম্বরের বৈঠকে লটারি না হলেও প্রাথমিকভাবে আলোচনা করে ঠিক হয়েছে ৭ ওয়ার্ড সংরক্ষিত হবে অনুসূচিত জাতির প্রার্থীদের জন্য। এরমধ্যে ৩টি ওয়ার্ড থাকবে অনুসূচিত মহিলা প্রার্থীদের জন্য। ক্রমান্বয়ে যেসব ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি অনুসূচিত জাতির লোক রয়েছেন সেই ৭টি সংরক্ষণের জন্য চূড়ান্ত করা হবে। এরপর এর মধ্যে থেকে কোন ৩টি ওয়ার্ড অনুসূচিত মহিলা প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত হবে তা চূড়ান্ত হবে লটারির মাধ্যমে। আর মোট ৪২ টি আসনের মধ্যে সাধারণ শ্রেণীর মহিলা প্রার্থীদের জন্য লটারির মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে আরও ১৮টি ওয়ার্ড।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০১১ র জনগণনার রিপোর্টের ভিত্তিতে বিভিন্ন ওয়ার্ডের লোক সংখ্যা নিয়ে যে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৯’৬৭ শতাংশ অনুসূচিত লোক রয়েছেন ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে।