অনলাইন ডেস্ক : কাছাড় জেলার সদর সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয় সহ সবকটি সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের দলিল রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার দরণ সংশ্লিষ্ট জনসাধারণ নানা দুর্ভোগের সম্মুখীন । কয়েকমাস পূর্বে ডেপুটি রেজিস্ট্রার / সাব রেজিস্ট্রার না থাকার দরুণ দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে জনসাধারণ অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। এখন সদর কার্যালয়ে দুজন অফিসার থাকা সত্বেও জেলা শাসকের কার্যালয় থেকে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের এন ও সি অর্থাৎ ছাড়পত্র সময়মত না পাওয়ায় এবং রেজিস্ট্রেশন কার্যালয়ে নথি আপলোড প্রক্রিয়ায় অসুবিধার দরুণ জমি ক্রেতা- বিক্রেতা নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।এই মন্থর প্রক্রিয়ার দরুণ সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ফাইলের পাহাড় জমছে। এ বিষয়টির শীঘ্রই সমাধানের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার হস্তক্ষেপ কামনা করলেন রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব।
সাংসদ দেব মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বলেছেন, গ্রামাঞ্চলের মানুষ সাধারণতও ছেলেমেয়ের বিয়ে অথবা চিকিৎসার খরচ মেটাতে অপারগ হয়ে শেষ সম্বল জমি জিরেত বিক্রি করতে বাধ্য হন। এখন সেই জমি বিক্রির এনওসি সংগ্রহ করতে সহকারি ভূবাসন কার্যালয়ে তদ্বিরের পর তদ্বির করে কাগজ যখন জেলা আয়ুক্তের রাজ্স্ব শাখায় আসে সেখানে আরেক দফা হয়রানীর শিকার হয়ে এন ও সি বের করেন।এরপর রেজিস্ট্রেশন কার্যালয়ে অনলাইন আপলোড প্রক্রিয়ার নানা ত্রুটির দরুণ সেখানে দিনের পর দিন দৌড়ঝাপ করেও জমি রেজিষ্ট্রেশন করতে পারছেন না। এতে কারুর ছেলেমেয়ের বিয়ের লগ্ন পার হচ্ছে কেউ বা অর্থের অভাবে উপযুক্ত চিকিৎসা না করে মৃত্যুমুখে পতওত হচ্ছেন। কাছাড় জেলায় জমির এনওসি এবং রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার অসুবিধা দূর করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুস্মিতা মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সুস্মিতা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন জমি ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়ায় শুধু জনসাধারণ অসুবিধার সম্মুখীন নয় রাজ্য সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।