অনলাইন ডেস্ক : বেশ কিছুদিনের বিরতির পর শিলচরে ফের সক্রিয় হয়ে উঠল বাইক আরোহী ছিনতাইবাজরা। বুধবার ঘন্টা দুয়েকের ব্যবধানে শহরের সোনাই রোড ও হাইলাকান্দি রোডে দুটি ঘটনায় ছিনতাইবাজরা ছিনিয়ে নিয়ে গেল নগদ ৬ লক্ষ টাকা ও বেশকিছু স্বর্ণালংকার। ছিনতাইবাজদের শিকার হয়েছেন বাগপুরের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বড়ভূঁইয়া ও তার সঙ্গী নুরুজ্জামান লস্কর এবং শহরের হাইলাকান্দি রোড মদনমোহন পার্ক (দেন)-এর বাসিন্দা বিশ্বজিৎ কর্মকার নামে এক ব্যক্তি। প্রথম শিকার হন নজরুল ইসলাম ও নুরুজ্জামান। দুপুর দেড়টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে সোনাই রোডে পেস্কার জাঙ্গালের কাছে। নজরুল ইসলামরা জানান, বিগত দিনে তারা সোনাই রোডের আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের শাখা থেকে গোল্ড লোন নিয়েছিলেন। এদিন লোনের টাকা মিটিয়ে দিয়ে স্বর্নালঙ্কার ফেরত নিয়ে নেন। স্বর্ণালংকার ব্যাগে ঢুকিয়ে এরপর যান স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নিউ শিলচর শাখায়। ওই ব্যাংক থেকে তিন লক্ষ টাকা উঠিয়ে একই ব্যাগে রেখে বাইকে চড়ে রওয়ানা হন সোনাই রোড হয়ে। পেশকার জাঙ্গালের কাছে পৌঁছার পর হঠাৎ করে পেছন দিক থেকে দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসে একটি বাইক। ওই বাইকে ছিল দুজন আরোহী। ধেয়ে আসা বাইকটির একজন আরোহী তাদের হাতে থাকা টাকা ও সোনার ব্যাগটি চলন্ত অবস্থায়ই ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ছিনতাইকারীরা ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার মাঝে তারা ঢাল সামলাতে না পেরে বাইক সহ ছিটকে পড়ে কিছুটা আহত হন। এই ঘটনার প্রায় দু’ ঘন্টা পর বিকেল তিনটে নাগাদ হাইলাকান্দি রোডে মদন মোহন পার্কের মুখে একইভাবে ছিনিয়ে নেওয়া হয় বিশ্বজিৎ কর্মকারের টাকার ব্যাগ। বিশ্বজিৎ বাবু জানিয়েছেন, তিনি এইচডিএফসি ব্যাংকের হাসপাতাল রোড শাখা থেকে তিন লক্ষ টাকা উঠিয়ে স্কুটিতে চড়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। মদনমোহন পার্ক-এর কাছে পৌঁছে বাঁক নিয়ে ভেতরে ঢুকতে যাওয়ার সময় পেছন থেকে আসা বাইকের আরোহী দুষ্কৃতীরা তার টাকার ব্যগটি ছিনিয়ে নেয়। ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার সময় টানাটানিতে তিনিও স্কুটি সহ ছিটকে পড়ে আহত হন। দুটি ঘটনা নিয়েই থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করলেও ধরপাকড়ের খবর নেই। এদিকে শহরে ফের বাইক আরোহী ছিনতাই বাজরা সক্রিয় হয়ে উঠায় জনমানসে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্কের। প্রসঙ্গত বিগত দিনে এধরনের ছিনতাইয়ের ক্ষেত্রে পুলিশ শনাক্ত করেছিল পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ির বরুন গ্যাং কে। ধরাও পড়ে ওই গ্যাং-এর একজন। এরপর আরেক দফা ছিনতাই শুরু হলে গ্রেফতার করা হয় লক্ষ্মীপুরের উজান তারাপুর এলাকার রকি ও তার সঙ্গীদের। তবে এবার কারা নতুন করে ছিনতাই শুরু করেছে তা এখনও স্পষ্ট হয়ে উঠেনি।