অনলাইন ডেস্ক : কয়েকদিনের বর্ষনে ফের শোচনীয় অবস্থার মুখে শিলচর তথা বরাক উপত্যকাবাসী। এরজন্য রাজ্য সরকার তথা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে সরব হল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। রবিবার বিডিএফের মূখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন, বর্তমানে জমাজলের দাপটে গৃহবন্দী শিলচরের আড়াই লক্ষ মানুষ। ধ্বস পড়ে বাইরের সাথে যোগাযোগকারী মেঘালয় ও ডিমা হাসাও দিয়ে সড়কপথ বন্ধ। খারাপ আবহাওয়ার জন্য বিমান অবতরণেও অসুবিধা হচ্ছে। একমাত্র রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও সক্রিয় রয়েছে, তাও যে কোনও মুহুর্তে বন্ধ হতে পারে। তা হলে বাইরের জগৎ থেকে সম্পুর্ন বিচ্ছিন্ন হবে এই উপত্যকা। প্রতিবছর বৃষ্টির মরশুমে একই অবস্থার পুনরাবৃত্তি হয়। অথচ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সারাবছর এনিয়ে নির্বিকার থাকে।
প্রদীপবাবু বলেন, গতবছরের প্রলয়ঙ্করী বন্যা থেকে শিক্ষা নিতে সম্পুর্ন ব্যর্থ রাজ্য সরকার তথা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। রাঙিরখাল সংস্কারের কাজের ঘটা করে উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। অথচ একবছরে ৩০ শতাংশ কাজও এগোয়নি। গার্ডওয়ালের কাজ শুরুই হয়নি। জবরদখলকারীদের উচ্ছেদের কাজও শেষ হয়নি। রাঙিরখাল, শিঙ্গিরখাল ও লঙ্গাইখালের প্রস্থ ও গভীরতা বৃদ্ধি তথা আবর্জনা পরিষ্কার না করলে শিলচরের নাগরিকদের রাহুমুক্তি হবে না বলে গত বন্যার পর বারবার সরকারকে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ মহল তথা বিভিন্ন সংগঠন। কিন্তু গত একবছরে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
তিনি বলেন, অবশেষে কাল থেকে এই কাজ নিয়ে তদ্বির করছেন শিলচরের বিধায়ক। তাঁর প্রশ্ন, এই কি কাজ করার সময়? এতদিন ধরে কি বিধায়ক, পুরসভা তথা সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা ভাতঘুমে ছিলেন? এদের অকর্মন্যতার জন্যই ফের জলবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শহরের নাগরিকরা। প্রদীপবাবু এদিন আরো বলেন, তারাপুর শিববাড়ি অঞ্চলের সড়কের অবস্থা ভয়াবহ ও এটি যানবাহন চলাচলের সম্পুর্ন অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় শাকসবজির আকাল শুরু হয়েছে। অথচ বিকল্প সড়ক পথ নিয়ে অনেক আবেদন, নিবেদন করলেও তাতে কর্ণপাত করেনা কেন্দ্র তথা রাজ্য সরকার। মহাসড়কের কাজও ঝুলে রয়েছে।তিনি বলেন, লাগাতার গনআন্দোলন ছাড়া এই সমস্যার সমাধান হবেনা এটা স্পষ্ট।তাই আপামর বরাকবাসীকে এই ইস্যুতে একজোট হবার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।