অনলাইন ডেস্ক : শিক্ষকদের মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট ইস্যুতে অর্থ দাবির অভিযোগের তদন্তে সিএম ভিজিলেন্সের অভিযান করিমগঞ্জে।গত কয়েকদিন আগে সংগঠিত এই ঘটনার তদন্ত করতে বুধবার স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালকের কার্যালয়ে সিএম ভিজিল্যান্স হানা দেয়।টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সার্টিফিকেট ইস্যুতে জড়িত থাকা কর্মচারীদের।দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি করা হয় কার্যালয়ে।জানা গেছে ফিটনেস সার্টিফিকেট ইস্যু নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে সরগরম জেলার যুগ্ম সঞ্চালকের কার্যালয়।অভিযোগ অনুযায়ী খোদ সঞ্চালকের অঙ্গুলি নির্দেশে কার্যালয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এক সিন্ডিকেট।অত্যন্ত কৌশলে সার্টিফিকেট ইস্যুর ক্ষেত্রে তৈরি করা হয় বিশেষ সিস্টেম।অর্থের লেনদেনে আপত্তি থাকলে কয়েক ঘন্টা নয় সপ্তাহের পর সপ্তাহ লেগে যায় সার্টিফিকেট আদায়ের জন্য।দিতে হবে বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা।বিষয়টি নিয়ে গত শুক্রবার সরব হন একাংশ সদ্য নিয়মিত হওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা ।এনিয়ে যুগ্ম সঞ্চালক কে অভিযোগ জানাতে গিয়ে একটা সময় তীব্র বাক বিতণ্ডা শুরু হলে হস্তক্ষেপ করতে হয় পুলিশ কে।এরপর যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক আরো বেঁকে বসেন বলে অভিযোগ। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হয় যে অধিক সংখ্যক সহকারি শিক্ষক করিমগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালকের কার্যালয়ে মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য উপস্থিত হওয়ায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য যুগ্ম সঞ্চালক শিক্ষা বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সহকারি শিক্ষকদের ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদান করার পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।কিন্তু এগুলো শুধু মাত্র খাতা কলমে থাকলে আগে থেকে চালু থাকা বিশেষ সিস্টেম বাদ দেওয়া হয়নি বিভাগীয় কার্যালয় থেকে।আর একাংশ শিক্ষক হয়রানি মুখে না পড়তে নির্দিষ্ট ফর্মুলায় রাজি হলে সচেতন মহল কিন্তু মোটেই সহজভাবে নেয়নি বিষয়টি।জেলাশাসক সহ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা। আর বুধবারই বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে থাকা বিশেষ দল।গোপনীয়তা বজায় রেখে হানা দেওয়া হন জেলা যুগ্ম সঞ্চালিকার কার্যাকয়ে।যদিও কোন ধরনের আটকের খবর পাওয়া যায়নি।তবে দীর্ঘ সময় কার্যালয়ের বিভিন্ন নথিপত্র পরীক্ষা সহ কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিএম ভিজিলেন্স।