অনলাইন ডেস্ক : করের পরিমাণ কম হওয়ায় মেঘালয়ে দেশে তৈরি বিদেশী মদের মূল্য তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। তাই মেঘালয় থেকে হামেশাই মদ পাচার করা হয়ে থাকে অসম সহ মিজোরামে। তবে শুধু এই দুই রাজ্যই নয় মেঘালয়ে বিক্রির জন্য নির্ধারিত মদ পাচার করা হয়ে থাকে প্রতিবেশী বাংলাদেশেও।
মেঘালয় থেকে বাংলাদেশে মদ পাচারের সময় বিএসএফ সোমবার হাতেনাতে পাকড়াও করে এক যুবককে। ধৃত যুবক শামীম (২২) বাংলাদেশের সিলেটের বাসিন্দা। মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া পার্বত্য জেলার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ডোনা এলাকায় তাকে পাকড়াও করা হয়। তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কয়েক বোতল মদ। শামীমকে বিএসএফ পরবর্তীতে সমঝে দেয় উমকিয়াম থানা পুলিশের হাতে।
সংবাদ সংস্থার সূত্রের খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের সিলেট এবং ঢাকার অভিজাত মহলে ভারতীয় মদের চাহিদা প্রচুর। বৈধভাবে বাংলাদেশে মদ নিয়ে যেতে হলে প্রচুর শুল্ক দিতে হয়। বাংলাদেশে এই শুল্কের পরিমাণ ৫০০ থেকে ৬০০ শতাংশ। এত শুল্ক দিয়ে লাভের অংশ খুব একটা থাকার কথা নয়। তাই অবৈধভাবে পাচারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিভিন্ন চক্র। এসব চক্রে ভারত ও বাংলাদেশ দু’দেশের লোকেরাই রয়েছে। আর ভারতের এ অঞ্চলে মেঘালয়ে মদের দাম যেহেতু অনেকটা কম, তাই পাচারকারীরা সে রাজ্য থেকে মদ পাচারেই বেশি আগ্রহী।