অনলাইন ডেস্ক : দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটপর্বে প্রচারের শেষদিন ঘনিয়ে আসছে দ্রুত। তারপরও শিলচরে সেই নির্বাচনী তাপ–উত্তাপ দেখা যাচ্ছে না, যা দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালে। কেন? দু’টো কারণ থাকতে পারে এর নেপথ্যে। প্রথমত, বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসকে বাদ দিলে শিলচরের বিভিন্ন এলাকায় এবার কংগ্রেস বা অন্যান্য দলের ফেস্টুন–ফ্লেক্স–ব্যানার–দেওয়াল লিখন দেখা যাচ্ছে না। অন্যান্য বছরের তুলনায় মাইকে প্রচারও চলছে কম। তাছাড়া বিজেপির সঙ্গে তাল মেলাতে তৃণমূল কংগ্রেস হোর্ডিং ব্যানার টাঙালেও তা তুলনায় অনেক কম। আর কংগ্রেস, এসইউসিআই বা অন্যান্য নির্দলীয় প্রার্থীদের ব্যানার পোস্টার তো একেবারে নেই বললেই চলে। ফলে নির্বাচন মরসুমেও কেমন একটা ঝিম ধরা পরিবেশ চারদিকে। অথচ একটা সময় ভোট এলে মনকাড়া সব লেটারিং ব্যবহার করে হাতেলেখা পোস্টার, দেয়াল লিখনে ছেয়ে যেত শিলচর। নির্বাচন ঘোষণার আগেভাগে বিভিন্ন দেওয়ালে ‘সাইট ফর’ অমুক দল–তমুক দল লিখে শুরু হয়ে যেত জায়গা দখলের লড়াই। শহর তো বটেই, মফস্বলের পোস্টারগুলোও ছিল দৃষ্টিনন্দন। সে সব পোস্টারের ভাষা ও স্লোগানও হতো সাহিত্যিক মূল্যমানসম্পন্ন।
তবে সময়ের বিবর্তনে পরিবর্তন আসছে সবকিছুতে। এবার ব্যানার ফেস্টুন কমে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে ছাপাখানার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী ও কর্মীদের ওপর। নির্বাচনের প্রচারণাকে ঘিরে প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট ছাপার কাজ তেমন হচ্ছে না। ব্যবসার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ীদের কণ্ঠেও হতাশা ফুটে ওঠে। নির্বাচনের সময় প্রচারণার কাজে ব্যবহার হয় বলে এই যন্ত্রটিরও এ সময়ে সাধারণত ব্যাপক চাহিদা থাকে। তাদের ভাষ্য, আগের তুলনায় এবার মাইক ও সাউন্ড সিস্টেমের চাহিদাও অনেক কম। এদিকে, ঝিম ধরানো পরিবেশে কোন দল কতটা আত্মবিশ্বাসী তা নিয়ে চলছে তরজা। এরই মধ্যে গণতন্ত্রের মল্লভূম শিলচরে মাঝেমধ্যে-ই তারকা প্রচারকদের আগমন, বিশাল রোড শো কাঁপিয়ে দিচ্ছে শহরের রাজপথ। যেন শেষ বেলায় একটু হলেও নির্বাচনী উত্তাপে গা সেঁকে নিচ্ছেন আম জনতা। ব্যানার ফেস্টুন না হলেও নির্বাচনের আগে জনসভা, রোড শো ইত্যাদিকে ঘিরে জমে উঠেছে প্রচারপর্ব।