অনলাইন ডেস্ক : এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে চা জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত আসনে ভর্তির ক্ষেত্রে ভুয়ো নথিপত্র ব্যবহার করে ওই জনগোষ্ঠীর নন এমন প্রার্থীরাও ভর্তি হয়ে যাচ্ছেন বলে বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ শুনা যাচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে এবার বাছাই তালিকায় নাম উঠা অসমের ৩০ জনের নথিপত্র পুনরায় পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে গৌহাটি হাইকোর্ট । এক বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, এই ৩০ জনের মধ্যে রয়েছেন বরাক উপত্যকার ৯ জন। খবর অনুযায়ী উপত্যকার ৯ জনের মধ্যে ৮ জনের নাম রয়েছে এমবিবিএস কোর্সের নির্ধারিত তালিকায়। ১ জনের বিডিএস কোর্সে। এমবিবিএস কোর্সে নাম থাকা ৮ জনের মধ্যে ৭ জনই কাছাড় জেলার। আর এ জেলার অন্য প্রার্থীর নাম রয়েছে বিডিএস এর তালিকায়। করিমগঞ্জের একমাত্র প্রার্থীর নাম রয়েছে এমবিবিএস-এর তালিকায়। জানা গেছে নগাও জেলার বাসিন্দা এক পড়ুয়ার আবেদনের ভিত্তিতে হাই কোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে সবার নথিপত্র পরীক্ষা করে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে রাজ্যের চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগেরসঞ্চালককে। নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার পূর্বপুরুষ কোন সময়ে অসমে এসেছিলেন, কোন চা বাগানে কাজ করেছিলেন এসব তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত এবার রাজ্যে যাদের নাম তালিকায় সন্নিবিষ্ট হয়েছে তাদের মধ্যে কয়েকজনের পদবী দেখেই শুরু হয় ফিসফিসানি। এরা কিভাবে চা জনগোষ্ঠীর লোক হতে পারে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠে বিভিন্ন মহল থেকে। এদিকে বিশেষ সূত্রটি জানিয়েছেন বরাক উপত্যকা থেকে কাছাড়ের যে ৮ জন প্রার্থীর নাম তালিকায় সন্ধিবিষ্ট হয়েছে এদের পদবী হল-কুর্মি, তাতোয়া, লোহার, সিং, বার্মা, স্বর্ণকার এবং গোয়ালা পদবীর দুজন। করিমগঞ্জের একমাত্র পড়ুয়ার পদবী নায়েক। এদের আগামীকাল নথিপত্র পরীক্ষার জন্য গুয়াহাটিতে চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের সঞ্চালকের কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে।
বরাক চা শ্রমিক ইউনিয়নের এক সূত্র দাবি করেছেন, এই উপত্যকা তালিকায় নাম থাকা নয় জনকে নিয়ে তেমন সংশয় নেই। সূত্রটির কথায়, ভালোভাবে যাচাই করেই এদের নামে সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছে।