অনলাইন ডেস্ক : পুরকর বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং ন্যায্য পুর পরিষেবা প্রদান সহ অন্যান্য দাবিতে সোমবার শিলচরে প্রগতিশীল নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে বের করা হয় প্রতিবাদী গন মিছিল।
এদিন মিছিল শুরু হয় নরসিংটোলা ময়দান থেকে। বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমার পর রাঙ্গিরখাড়ি নেতাজি রোটারির সামনে পৌঁছে শেষ হয় মিছিল। মিছিলে যোগদানকারীদের মধ্যে ছিলেন দীলিপ কুমার দে , নীহারেন্দু পুরকায়স্থ, হরিদাস দত্ত, বনানী রায় চৌধুরী, সত্যজিৎ গুপ্ত, তমাল কান্তি বনিক, মনোজ পাল, তরুণ দেব, অতনু ভট্টাচার্য, দুলাল মিত্র, স্বর্ণালী চৌধুরী, পল্লব ভট্টাচার্য, পরিতোষ ভট্টাচার্য, বিশ্বজিৎ দাস, স্নিগ্ধা নাথ, অরূপ বৈশ্য, মৃনাল কান্তি সোম, রঞ্জন দাস, রামেন্দ্র ভট্টাচার্য, সুভাষ বনিক সহ, প্রগতশীল নাগরিক মঞ্চের সভাপতি ধ্রুব কুমার সাহা, সহ সভাপতি সাধন পুরকায়স্থ, শিহাব উদ্দিন আহমেদ, আশু পাল, প্রদীপ নাথ, অধ্যাপক অজয় রায়, ডা এম শান্তি কুমার সিং, সীমান্ত ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব শর্মা, সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার ভট্টাচার্য, কোষাধ্যক্ষ মলয় দত্ত, সম্পাদক অরিন্দম দেব, হিল্লোল ভট্টাচার্য, ইলোরা চক্রবর্তী, রঞ্জিত চৌধুরী, নিরুপম ব্যানর্জী, মধুসূদন কর, কমল চক্রবর্তী, পার্থ সুদীপ রায়, জয় বরদিয়া, দীপঙ্কর চন্দ, অজয় রায়, মানস দাস, ভবতোষ চক্রবর্তী, গৌরাঙ্গ নাথ, কৃশানু ভট্টাচার্য, হানিফ আহমেদ বড়ভৃঁইয়া, সুজন দত্ত, ফারুক লস্কর, খাদেজা বেগম লস্কর ও ভাস্কর ভট্টাচার্য প্রমূখ। মিছিল শুরুর আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ধ্রুব কুমার সাহা বলেন, শহরের রাস্তাঘাটের চরম দুরবস্থার বিরুদ্ধে সবাই সোচ্চার হওয়ার পর কাজ শুরু হলেও তা অতি নিম্ন মানের হচ্ছে। কিশোর কুমার ভট্টাচার্য বলেন পুরসভা থেকে কালো দুর্গন্ধযুক্ত পানীয় জল অনিয়মিত ভাবে সরবরাহ করা হয়। জল সরবরাহের কোনও নির্দিষ্ট সময়ও নেই। সব রকমের পরিষেবা দিতে পুরসভা চরম ব্যর্থ। অথচ এরই মধ্যে বেআইনিভাবে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পুরকর, জলকর, জমি কেনার কর ইত্যাদি। আশু পাল বলেন বন্যা আমাদের নিত্য সঙ্গী। পলিমাটিতে ভরে গেছে নদীর বুক। সুগভীর ভাবে নদী খনন ছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণের আর কোনও উপায় নেই। বাসুদেব শর্মা বলেন চার বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তিহীন বাহানা দেখিয়ে শিলচরে পুরনির্বাচন বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি দ্রুত পুর নির্বাচন করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে পুরসভা সমঝে দেওয়ার দাবি তুলেন। সাধন পুরকায়স্থ বলেন দু’বেলা পরিশ্রুত জল দিতে পারেনা পুরসভা, অথচ জলকর প্রতিমাসে ১২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে।
মঞ্চের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি শেয়ার দেওয়া হয়েছে, শীঘ্র দাবি-দাওয়া পূরণ না হলে গড়ে তোলা হবে আরও তীব্র আন্দোলন।