অনলাইন ডেস্ক : ঢাকায় ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা। এতে যোগ দিতে ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলো থেকে ২২০ জন আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে বাংলাদেশে পৌছেছেন। বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে আসাম থেকে আসা মওলানা আব্দুল করিম আবেগ-আপ্লুত। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পুলিশের আতিথেয়তায় তারা মুগ্ধ। এই আপ্যায়ন ও সহযোগিতা তাদের চিরদিন মনে থাকবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটান সিটির লাগোয়া ঐতিহাসিক তুরাগ নদের তীরে ১৬০ একর জায়গা বিস্তৃত ময়দানে বিশাল শামিয়ানা টাঙ্গিয়ে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হয়। ১৯২৭ সালে মওলানা ইলিয়াস (রহ.) ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহরানপুর এলাকায় ইসলামী দাওয়াত তথা তবলিগের প্রবর্তন করেন এবং একই সঙ্গে এলাকাভিত্তিক সম্মিলন বা ইজতেমারও আয়োজন করে। বিশ্বের প্রায় ৫৫টি দেশের মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দেন। বাংলাদেশে ১৯৫০-এর দশকে তবলিগ জামাতের প্রচলন করেন মওলানা আবদুল আজিজ। বাংলাদেশে তবলিগ জামাতের কেন্দ্রীয় মারকাজ বা প্রধান কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদ থেকে এই সমাবেশ কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করা হয়। মুসল্লিদের সুবিধার জন্য তুরাগ নদে পল্টন সেতু তৈরি করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বিশাল ময়দানে স্বেচ্ছাশ্রমে হাজারো মুসল্লি সামিয়ানা টাঙ্গানো থেকে শুরু করে নানা কাজে হাত লাগান। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তরফে ১২টি নলকূপ, ১২ কিলোমিটার পাইপলাইন, সাড়ে ৮ হাজার অস্থায়ী টয়লেট ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ ও ২৫টি ফগার মেশিনে মশা নিধনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাজধানীর নিকটবর্তী গাজীপুরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি হবে। মাঝে ৪ দিনের বিরতির পর ২০ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। স্থান সংকুলান না হওয়ায় দুই ধাপে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হয়। আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানো, থাকা-খাওয়া ও ঢাকায় পাঠানো সহ সব কাজ দ্রুত করার জন্য তবলিগ জামায়াতের ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে একটি প্রতিনিধি দল আখাউড়া স্থলবন্দরে অবস্থান করছেন। তারা প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত আগত মুসল্লিদের সার্বিক সহযোগিতা করবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের তরফে থেকেও স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন এলাকায় বিদেশি অথিতিদের খাবার দিয়ে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছেন। প্রতিদিনই সকাল থেকে স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ আগত মুসল্লিদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।