অনলাইন ডেস্ক : ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেছেন। মঞ্চে দুই পাশে রাশিয়ার পতাকা উঁচিয়ে মাঝের ডায়াসে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেন পুতিন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ বাড়িয়ে তোলার অভিযোগ করে তিনি বলেছেন, বৈশ্বিক সংঘাতের মঞ্চে মস্কোকে পরাজিত করতে পারবে এমনটি একটি ভুল ধারণা নিয়ে তারা এটি করছে। দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক অভিজাতদের সামনে রেখে দেওয়া এই বক্তব্যে তিনি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া যেসব বিষয়ের মুখোমুখি হয়েছে তা ‘সাবধানে ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টার’ মধ্য দিয়ে সমাধান করা হবে। পশ্চিমাদের বৈশ্বিক সংঘাতের বিষয়ে সতর্ক করে পুতিন বলেছেন, রাশিয়াকে এই যুদ্ধে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। যুদ্ধে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের দুঃখ–কষ্ট তিনি অনুধাবন করেন। পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনের জনগণ কিয়েভের বর্তমান শাসক গোষ্ঠী ও পশ্চিমাদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। যারা দেশটিকে রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে পুরোপুরি দখল করে আছে।’ ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ১ বছরের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাত আরও বেড়েছে। সোমবারই আচমকা ইউক্রেনে হাজির হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন । প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পাশে দাঁড়িয়ে রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রনেতা। পরের দিনই যুদ্ধের গতি বাড়ানোর ঘোষণা করতে চলেছেন পুতিন । এক বছর আগে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। যদিও যুদ্ধ না বলে এই প্রক্রিয়াকে সামরিক অভিযান বলে দাবি করেন পুতিন। দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চললেও ইউক্রেন দখল করতে পারেনি রাশিয়া। এমনকি বেশ কয়েকবার পিছু হটে রুশ বাহিনী। ফলে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চললেও এখনও সেভাবে সাফল্যের মুখ দেখেনি রাশিয়া।