অনলাইন ডেস্ক : ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিলচরে মৃত্যু ঘটলো একজনের। পূর্ত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী মৃত দিলীপ কুমার নাথ (৬২) ছিলেন শহরের বিবেকানন্দ রোড এলাকার বাসিন্দা। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। শিলচর যখন বিশ্বকাপ ক্রিকেট জ্বরে কাবু তখন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দিলীপবাবুর মৃত্যুকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্কের।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে,দিলীপবাবুকে ১৬ নভেম্বর চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছিল ওই বেসরকারি হাসপাতালে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে দিলীপবাবু কর্মরত ছিলেন ডিমাহাসাও জেলার সদর শহর হাফলং -এ। গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের আগে হাফলং-এ তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে সেখানে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে যান। সেপ্টেম্বরে অবসর গ্রহণের পর তিনি শিলচরে চলে এলেও কাজের সূত্রে মাঝে দু’একবার যেতে হয়েছিল হাফলং -এ। এর মধ্যেই মাঝে মাঝে তিনি হালকা জ্বরে ভুগছিলেন, চলছিল চিকিৎসাও,। ১৬ নভেম্বর তার অবস্থার বিশেষ অবনতি ঘটলে তাকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয় বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসার মাঝে দেখা যায় তার কিডনিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর রবিবার দুপুরে তার মৃত্যু ঘটে। দিলীপবাবু রেখে গেছেন পত্নী স্বর্ণলক্ষী নাথ, দুই মেয়ে দৃষ্টি নাথ এবং সৃষ্টি নাথ সহ অন্যান্য পরিজনদের। রয়েছেন তার মা অশিতিপর বিপুলা নাথও। দিলীপবাবু পূর্ত বিভাগে কাজ করার পাশাপাশি হাফলং-এ পদ্মপুরাণ গায়ক হিসেবেও সুপরিচিত ছিলেন। তার ভাই প্রদীপ নাথ বরাক উপত্যকার একজন সুপরিচিত কৌতুক শিল্পী। দিলীপ বাবুর মৃত্যুতে পরিচিত মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এদিকে ডেঙ্গুতে দিলীপ বাবুর মৃত্যু নিয়ে কাছাড়ের স্বাস্থ্য বিভাগের সার্ভিলেন্স অফিসার
ডা: ইব্রাহিম আলীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান এখনও এ নিয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাদের কাছে রিপোর্ট করা হয়নি। হয়তো জানানো হবে দুই-একদিনের মধ্যেই। তবে তিনি বলেন, ডিমা হাসাও এবং কার্বি আংলং এ অনেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর ওই দুই জেলা থেকে কাছাড়ে প্রতিনিয়তই আসছেন লোকজন। তাই ওই দুই জেলা থেকে কেউ জ্বর নিয়ে এলে সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে রিপোর্ট করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।