অনলাইন ডেস্ক : বিধানসভার কার্যক্রমণিকায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করার অভিযোগে এক দিনের জন্য সদন থেকে বাঘবরের বিধায়ক শেরমান আলিকে বহিষ্কার করেছেন অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারি। সোমবার অসম বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন মাধ্যমিক পরীক্ষার সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই হই-হট্টগোল চলছিল। এর মধ্যে বাঘবরের বিধায়ক শেরমান আলির আচরণ চরমে ওঠে। প্রশ্নকালের সময় শেরমান আলি গত ২৬ ডিসেম্বর সত্রকানরায় প্রশাসন কর্তৃক ৪০০ বিঘা জমিতে উচ্ছেদ অভিযান সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্থাপন করে হই-হট্টগোলের পারদ চড়ানোর চেষ্টা করেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে যে জবাব তাঁকে দেওয়া হয়েছিল, তাতে তিনি সন্তুষ্ট নন। তাঁর প্রশ্ন, যে ৪০০ বিঘা জমি খালি করা হয়েছে, এতে কতজন পরিবার উচ্ছেদের শিকার হয়েছেন? যাঁদের উচ্ছেদ করা হয়েছে, তাঁদের কেউই জবরদখলদারী নন, দাবি শেরমানের।
হুলস্থুলের মধ্যে বিভাগীয় মন্ত্রী যোগেন মোহন জানান, মোট ৪৫টি পরিবারকে সরকারি জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। ওই ৪৫-এর মধ্যে ৪৪টি পরিবারের নিজস্ব জমি রয়েছে। এর সম্পূর্ণ বিবরণ সরকারের কাছে মজুত আছে। তিনি বলেন, জেলাশাসক মোট ৪৪টি পরিবারের পুরো জমির তথ্য সরকারের কাছে তুলে ধরেছেন। তিনি ঘটনাটি সদনে প্রকাশ করে বিধায়ককে একপ্রকার মুখ বন্ধ করে দেন। তা সত্ত্বেও শেরমান আলি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সদনকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষের পোডিয়ামের সামনে গিয়ে এ বিষয়ে পরিপূরক প্রশ্ন করার অনুমতি চান।
অধ্যক্ষ তাঁকে বলেন, ‘আপনি ইতিমধ্যে পরিপূরক প্রশ্ন করেছেন এবং মন্ত্রীও তার উত্তর দিয়েছেন। তাই আপনি আপনার আসনে ফিরে যান।’ এর পরও শেরমান আলি অধ্যক্ষের পোডিয়ামের সামনে দাঁড়িয়ে হেলেদুলে উচ্চৈঃস্বরে চিৎকার করে বক্তব্য পেশ করতে থাকেন। বিধায়কের এই আচরণে বিরক্ত হয়ে অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারি আজ শেরমান আলিকে হাউস থেকে দিনব্যাপী কার্যক্রমণিকা থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে তাকে সদন থেকে বের করে দেন। এদিকে এই ইস্যুতে বিধায়ককে সমর্থন করে এআইইউডিএফ এবং কংগ্রেস অধ্যক্ষের কাছে শেরমান আলিকে পরিপূরক প্রশ্ন করার অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন করে। কিন্তু অধ্যক্ষ বিরোধীদের দাবি নাকচ করে সদনের কার্যক্রম শুরু করেন।