অনলাইন ডেস্ক,৪ জানুয়ারি : হিমাচল প্রদেশে হার। কিছু রাজ্যে গোষ্ঠী কোন্দল। জে পি নাড্ডায় একশো শতাংশ খুশি নয় বিজেপি নেতৃত্ব। তারপরও সভাপতি পদে থেকে যেতে পারেন এই নাড্ডাই।সূত্রের খবরে কান পাতলে আপাতত এমনটাই শোনা যাচ্ছে।
চলতি মাসেই শেষ হচ্ছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডার মেয়াদ। তার আগে এ মাসের ১৬-১৭ তারিখে দিল্লিতে দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডাকল বিজেপি।
সূত্রের মতে, যে ভাবে তড়িঘড়ি দিল্লিতে ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে তা দেখে মনে হচ্ছে, লোকসভা পর্যন্ত নাড্ডার মেয়াদ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হবে ওই বৈঠকে।সদ্য নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশে হারের ধাক্কা সহ্য করতে হয়েছে নাড্ডাকে । বিশেষ করে হিমাচল প্রদেশে দলীয় কোন্দল মেটাতে নড্ডার ব্যর্থতা আদৌও ভাল ভাবে নেননি খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । উল্টো দিকে, গুজরাটে রেকর্ড জয়ের মূল কান্ডারি হিসেবে সি আর পাটিলের প্রশংসায় প্রকাশ্যে সরব হন মোদি । তার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল, সম্ভবত লোকসভার আগে নাড্ডাকে সরিয়ে সি আর পাটিলের হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার কথা ভাবছেন নরেন্দ্র মোদি -অমিত শাহেরা।
এই আবহে দশ দিন বাদেই জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডাকায় দলের অনেকেই মনে করছেন, এ যাত্রায় সম্ভবত মেয়াদ বৃদ্ধি হচ্ছে নাড্ডার । কারণ চলতি বছরে ন’টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তা ছাড়া, দেড় বছরের মধ্যে দেশে লোকসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলে তাঁকে তাঁর নিজস্ব দল বানাতেই বছরের অর্ধেক কেটে যাবে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে। লোকসভার প্রেক্ষিতে যা বিজেপির কাছে আদৌও কাম্য নয়। পরিবর্তে দলে স্থিতাবস্থা ও ভারমাস্য বজায় রাখতে আগামী দেড় বছর নাড্ডার হাতেই দলের দায়িত্ব রেখে দেওয়ার পথেই সম্ভবত হাঁটতে চলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।