অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে ভারত সরকার বিশেষ করে ত্রিপুরা ও অসমের বরাক উপত্যকার মানুষের অবদান বাংলাদেশের জনগণ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে থাকেন।কারণ মুক্তিযুদ্ধে কয়েকলক্ষ শরণার্থী ও মুক্তিযোদ্ধা এই অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। শরণার্থীদের খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সাহায্য ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা যুগিয়েছিলেন উত্তর পূর্বের মানুষ। প্রতিবেশি বাংলাদেশের সিলেটের ঐতিহ্যবাহী প্রকাশন সংস্থা পান্ডুলিপির কর্ণধার লেখক সংগঠক বায়েজিদ মাহমুদ ফয়সল ও বিশ্ব বাঙ্গালি সংসদ বাংলাদেশের সভাপতি লোকমান হোসেন পলা সোমবার শিলচরে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এই অভিমত ব্যক্ত করেন। শিলচরের উনিশে মে উদযাপন সমিতি এই মত বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
কিশোর কুমার ভট্টাচার্যের পৌরোহিত্য অনুষ্ঠিত এই মত বিনিময় অনুষ্ঠানে বায়েজিদ মাহমুদ ও লোকমান বলেন, বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের চেতনা থেকে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বরাক উপত্যকার মানুষ একষট্টি, বাহাত্তর ও ৮৬ সালে মাতৃভাষার জন্য সংগ্রাম করে ১৪ জন শহিদ হওয়া সত্বেও এখনও শহিদের স্বীকৃতি আদায় না হওয়ায় তারা আক্ষেপ ব্যক্ত করেন।বরাকের ভাষা শহিদের স্বীকৃতি আন্দোলনে বাংলাদেশের মানুষের নৈতিক সমর্থন রয়েছে বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।এই অনুষ্ঠানে বরাক সফরকারী দুই লেখক ও সাংবাদিককে উনিশে মে উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে উত্তরীয় ও ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।অনুষ্ঠানে সমাজকর্মী স্বর্ণালি চৌধুরী ব্যক্তিগতভাবে তাদের দুটি পাঞ্জাবি উপহার দেন।মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উনিশে মে উদযাপন কমিটির সদস্য সাধন পুরকায়স্থ একষট্টির ভাষা আন্দোলন এবং পরবর্তীতে এই অঞ্চলের বাঙ্গালিদের জাতি স্বত্তার লড়াইয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন।এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী সামসুর রহমান লস্কর প্রমুখ।