অনলাইন ডেস্ক : টিলা ধসে মাটির নীচে চাপা পড়ে একই পরিবারের গৃহকর্ত্রী ও চার শিশু সহ পাঁচজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। হৃদয়বিদারক ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে করিমগঞ্জ জেলার বদরপুর থানাধীন এংলারবাজার বেন্দারগুল গ্রামে মঙ্গলবার মধ্যরাত প্রায় ১২:৩০ মিনিট নাগাদ। এ ঘটনায় শোকাচ্ছন্ন গোটা করিমগঞ্জ জেলা। নিহতদের রাইমুন নেসা (৫৫), সাহিদা খানম (১৮), জাহিদা খানম (১৬), হামিদা খানম (১১) এবং মেহেদি হাসান (৩) বলে শনাক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে গ্রামের গৃহস্থ জনৈক আব্দুল করিমের পরিবারের সদস্যরা তখন ঘুমে আচ্ছন্ন। রাত প্রায় সাড়ে বারোটা নাদাক লাগোয়া টিলা থেকে নেমে আসে মাটির স্তূপ। মাটির স্তূপে আব্দুল করিমের ঘর চাপা পড়ে যায়। বরাত জোরে গৃহকর্তা প্রাণে বাঁচলেও তাঁর স্ত্রী, তিন কন্যা সহ একমাত্র নাতির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। প্রাণ রক্ষা হয়েছে আব্দুলের এক মেয়েরও।
ঘটনার সময় গৃহকর্তা আব্দুল করিম অন্য ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। বিকট শব্দ শুনে ঘুম থেকে ওঠে তিনি এই বিপর্যয় দেখে হল্লা-চিৎকার করলে গ্রামের মানুষ জড়ো হতে থাকেন। ইত্যবসরে মসজিদের ইমাম ঘটনাটি মাইকে প্রচার করে সবাইকে সহায়তার জন্য আহ্বান জানান।
ঘটনার খবর পেয়ে আজ বুধবার ভোররাত প্রায় দুটা নাগাদ বদরপুর থানার পুলিশ এসডিআরএফ নিয়ে বিপর্যয়গ্রস্ত গ্রামে গিয়ে উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় আব্দুল করিমের ৫৫ বছর বয়সি স্ত্রী রাইমুন নেসা, ১৮ বছরের মেয়ে সাহিদা খানম, ১৬ বছর বয়সি মেয়ে জাহিদা খানম, ১১ বছর বয়সি মেয়ে হামিদা খানম এবং তিন বছরের একমাত্র নাতি মেহেদি হাসানের নিথর দেহ।
অকুস্থলে বদরপুরের সার্কল অফিসার তথা প্রশাসনিক ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা গিয়ে গোটা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছেন। আজ সকালে প্রশাসনিক ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করে সেগুলি হলুদ পলিথিন দিয়ে মুড়ে ময়না তদন্তের জন্য করিমগঞ্জ অসামরিক হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।