অনলাইন ডেস্ক : লোকসভা এবং বিধানসভার কেন্দ্র পুনর্বিন্যাসে বরাক উপত্যকার অস্তিত্বকে শেষ করে দেওয়ার গভীর চক্রান্ত চলছে, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল সুবর্ণখণ্ড রাষ্ট্রীয় সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি নজরুল ইসলাম লস্কর এই অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আইনজীবী নজরুল ইসলাম লস্কর বলেন, দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বরাকে যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে, সেটি পূর্ব পরিকল্পিত ছাড়া আর কিছুই নয়। দীর্ঘকাল ধরে বহু দিক থেকে বরাক উপত্যকাকে দুর্বল ও পঙ্গু করে দেওয়ার যে অপচেষ্টা চলছে, এরই অংশ হিসেবে বড় ধরনের ছক কার্যকর করার জন্য উগ্র জাতীয়তাবাদী শক্তি সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে। এই অবস্থায় বরাক উপত্যকায় নতুন রাজ্য গঠন ছাড়া বিকল্প নেই।
সর্বস্তরের জনসাধারণ এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে অনুধাবন করতে হবে। নতুবা, ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বাঙালি সহ অনসমীয়ারা যে ভাবে বিপন্ন, বরাক উপত্যকার অবস্থা ভবিষ্যতে তা থেকেও ভয়াবহ হবে। ডিলিমিটেশন কমিশনের পরিবর্তে তড়িঘড়ি নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে তৈরি করা লোকসভা-বিধানসভা পুনর্বিন্যাস বরাকে চাপিয়ে দেওয়ার জন্য শাসক দলের জোর তৎপরতা চলছে। এটা কোনও অবস্থায় মেনে নেওয়া যায় না। বরাকের দুটো বিধানসভা কেন্দ্র কেটে অন্যত্র তা কার্যত উপহার হিসেবে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে উল্লাস প্রকাশ করে চলেছেন। কী ধরনের বিচিত্র কান্ড-কারখানা একটা গণতান্ত্রিক দেশে চলছে, সেটা অবর্ণনীয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নজ্রুল আরও বলেন, এ রকম গভীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রামী চেতনা নিয়ে বরাকবাসীকে আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। না হলে সব কিছুই শেষ হয়ে যাবে। একজন আইনজীবী হিসেবে তিনি মনে করেন, এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টই শেষ ভরসা। কারণ, ডিলিমিটেশন কমিশনের পরিবর্তে অসমে এই প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে করানো হচ্ছে, যা নিয়মমাফিক নয়। সম্পূর্ণভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সমূহ পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে এখনই বরাকে নতুন রাজ্য গঠনের দাবি অত্যন্ত জোরদার করতে হবে বলে আহ্বান জানান নজরুল।