অনলাইন ডেস্ক : বর্তমান সরকার দুনীর্তি দমনের অঙ্গীকার করে জনগণের আশীর্বাদে গদি দখলে সমর্থ হয়েছিল। বিশেষ করে রাতাবাড়ি বিধান সভার বিধায়কের পদটি কয়েক বছর ধরে দখলে রাখা হয়েছে। কিন্তু বতর্মানে উন্নয়নের কাজে স্বচ্ছতা নিয়ে অনেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন। দুল্লভছড়ার পাশ্ববর্তী চামটিলা গ্রামের পাশে সিংলা নদীর জলপ্রবাহে ভয়াল ভাঙনের জন্য অনেকের বসতবাড়ি,মন্দির সহ নিভিয়ামুখী প্রধান সড়কটি নদীতে তালিয়ে যাওয়ার আতঙ্কে ভুগছিলেন এলাকার মানুষ।ফলস্বরুপ স্থানীয় জনগণ এখানকার ভাঙন রোধের দাবিতে সোচ্চার হওয়ায় রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকারের প্রচেষ্টায় ভাঙন রোধে কয়েকটি স্থানের জন্য অর্থ মঞ্জুর হয়। এরমধ্যে একটির কাজ চলছে চামটিলায়। কিন্তু তথ্যফলক ছাড়াই স্থানীয়দের অন্ধকারে রেখে ৩৭৫ মিটার বাঁধের কাজে মাটিযুক্ত নিম্নমানের ইট ব্যবহার করে ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। নিম্নমানের ইট ব্যবহার করায় কাজের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের মতে,কাজে অনিয়মের জন্য সরকারের কোটি কোটি টাকার লোকসান সাধারণ মানুষকে বহন করতে হবে। পাশাপাশি সিংলা নদীর পাশে থাকা চামটিলাবাসী সর্বহারা হয়ে পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এখানে কাজের গুণগত মান নিয়ে বিভাগীয় আধিকারিকরাও রয়েছেন সন্দেহের আবর্তে। এই ব্যাপারে বিভাগীয় আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদারের লোকেরা কাজে অনিয়মের বিষয়ে সঠিক জবাব দিতে ব্যর্থ হন। এমনকি কাজের গাইডলাইন সম্পর্কে অবগত না হওয়ায় তারা নিম্নমানের ইট ব্যবহার করে তড়িঘড়ি কাজ শেষ করতে চাইছেন। অন্যদিকে স্থানীয়রা দুঃখপ্রকাশ করে বলেন,সিংলা নদীর ভাঙন রোধে বহু বছর পর অনেক তদ্বিরে সরকারিভাবে অর্থ মঞ্জুর হলেও বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যাপারে তারা বিন্দুমাত্র অবগত নন। তাই কাজের স্থায়িত্বের জন্য সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী সঠিকভাবে কাজ করার দাবি জানিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে কাজের সঠিক তদন্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, করিমগঞ্জের জেলাশাসক,রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকার সহ করিমগঞ্জ সাংসদ কৃপানাথ মালার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন গ্রামবাসী। তারা আরও বলেছেন, সরকারি নিয়মে সঠিকভাবে কাজ না হলে তারা বড় ধরণের পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন।