অনলাইন ডেস্ক : বরাক নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন সংগীতশিল্পী মহিলা। সোমবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে শিলচর থানা এলাকার তোপখানায়। মৃত পূর্ণিমা দাস (২০) ছিলেন কাটিগড়া থানা এলাকার জালালপুর তালকরগ্রান্ট রাজপুরের বাসিন্দা। ঘটনাকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্যের।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণিমা হঠাৎ করে নদীর তীরে গিয়ে তার ব্যাগ ও মোবাইল রেখে জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সে সময় আশপাশে ছিলেন অন্য কয়েকজন। তারা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালালেও সক্ষম হননি। তিনি জলে ডুবে যান।
ঘটনা যখন ঘটে তখন এলাকার কেউই পূর্ণিমাকে চিনতে পারেননি। তারা খবর দেন এলাকার জিপি সভাপতি মিয়া খান কে। মিয়া খান খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ সেখানে পৌঁছে মোবাইলের নম্বর ঘাটাঘাটির সময়ই পূর্ণিমার বাড়ি থেকে কেউ একজন ফোন করে। তখন বাড়ির লোকেদের সবকিছু জানানো হলে, তারা জানান পূর্ণিমার নাম ও ঠিকানা।
এসবের মাঝে খবর পেয়ে এনডিআরএফ সেখানে পৌঁছে কিছুক্ষণ তল্লাশি চালিয়ে পূর্ণিমাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এরপর তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতদেহ বর্তমানে রয়েছে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। জিপি সভাপতি মিয়া খান ও পুলিশের এক সূত্র জানান, পূর্ণিমার বেগে কিছু কাগজ পাওয়া গেছে। এতে লিখা রয়েছে গান।
এদিকে পূর্ণিমার পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, পূর্ণিমা আকাশবাণী শিলচর কেন্দ্রেও গান গাইতেন। মাঝে মাঝে তিনি থাকতেন রাজপুরের বাড়িতে কখনও বা থাকতেন শিলচর আশ্রম রোডে ভাড়া ঘরে। এদিন আকাশবাণী কেন্দ্রে গান গাওয়ার কথা বলে রাজপুরের বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন।
পুলিশ এই মুহূর্তে ঘটনা নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে রাজি নয়। কেন পূর্ণিমা এভাবে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মঘাতী হলেন বর্তমানে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।